
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে রাঙ্গামাটি জেলাসহ দশ উপজেলার সকল সাপ্তাহিক পাহাড়ী হাট-বাজার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসন। তবে খোলা রয়েছে জরুরী ঔষধ, নিত্য পন্য ও কাঁচা বাজারের দোকান।
বুধবার (২৫ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে জেলায় সব ধরনের দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত জনসাধারণকে ঘর ছেড়ে বের না হওয়ার পাশাপাশি এক সাথে ২জন চলাচলের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ।
এদিকে, রাঙ্গামাটি জেলাকে লক ডাউন করা না হলেও বর্তমানে ঔষধের দোকান, মুদি দোকান ও কাঁচা বাজার ছাড়া রাঙ্গামাটিতে সকল দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কমে গেছে শহরে গাড়ী চলাচল। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে মোবাইল কোর্ট ও সেনাবাহিনী। ২৬ মার্চ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরিভাবে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ।
এদিকে আজ সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। রাঙ্গামাটির প্রধান তিনটি বাজারে ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে তারা মাইকিং ও বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় এবং দোকান ও হাটবাজার বন্ধ করে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান। তাছাড়া হোম কোয়ারেন্টাইন তদারকি করতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের টিম টহল দিচ্ছে।
অন্যদিকে, রাঙ্গামাটির চারটি উপজেলা বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে এবং বিলাইছড়ি উপজেলা দিয়ে মিয়ানামার হয়ে কেউ যাতে এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য সীমান্তে বিজিবি’র কড়া নজরদারী রাখা হয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, পুলিশ বিভাগ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে স্প্রে ও শহরে মাইকিং করে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে।