
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি; খাগড়াছড়িতে চলতি মাস থেকে হামের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা জানতে চান তিনি । এসময় প্রধানমন্ত্রী জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চাইলেন ,’ খাগড়াছড়িতে হঠাৎ শিশুদের মধ্যে হাম কেন বেড়ে গেল? তারা কি হামের টিকা নেয় না?’ এসময় জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘হামে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তারা মূলত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জনগোষ্ঠীর মানুষ। এদের মধ্যে কিছু কুসংস্কার আছে। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। যে জায়গাগুলোতে হাম পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে অসুস্থদের আমরা ইতোমধ্যে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছি।‘ আ্ক্রান্ত এলাকায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টিও রয়েছে । এ কারণে সাধারণ ত্রাণের সঙ্গে তারা যেন নিউট্রিশন পায়, এজন্য ডিমের মতো কিছু প্রোটিন তাদের এক্সট্রা দিচ্ছি।’ এসময় প্রধানমন্ত্রী হামের বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন নুপুর কান্তি দাশের সাথে কথা বলেন । সিভিল সার্জন জানান,‘ ‘কয়েকটি স্থানে শিশুরা হামে আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা তাদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছি। ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী এলাকার কুসংস্কারের কারণে তারা কেউ চিকিৎসা নিতে চায় না। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা যে টিকা দিয়ে যাচ্ছে, উনারা টিকা নিতে চায় না। অল্পদিনের মধ্যে আমরা অবশ্যই হামের টিকার ব্যবস্থা করব।’ এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যতে যাতে পাহাড়ে হামের প্রকোপ না বাড়ে সেই লক্ষ্যে টিকাদানসহ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন। মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা,এমপি। পুলিশ সুপার আহমেদ আজিজ,সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, এবং স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত;চলতি মাসে খাগড়াছড়ি দীঘিনালাতে রথীচন্দ্র পাড়া হামে মারা গেছে এক শিশু এবং আক্রান্ত হয়েছে ৩৯ জন। খাঘড়াছড়ি সদর ভাইবোছড়া ইউনিয়ন রবিধনপাড়া হামে আক্রান্ত ৭৩ জন শিশুসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত প্রায় ১৩০ জন রোগি চিকিৎসা সেবার। এতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করে খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ায় শিশুরা সুস্থা হয়ে উঠেছে।