মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের সভায় বক্তারা : শেখ কামাল যেমন মেধাবী ছিলেন তেমনি ছিলেন একজন বড় মাপের সাংস্কৃতিককর্মী ও সংগঠক

লালদিঘী পশ্চিম পাড়স্থ সিদ্দিকী হ’লে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদ- চট্টগ্রাম এর নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের সভাপতি এম. নুরুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. শওকত ইমরানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হোমিও বোর্ড সদস্য ডা. এ. কে. এম. ফজলুল হক সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট তদানীন্তন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্ম নেওয়া শেখ কামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে শাহাদত বরণ করেন কিছু বিপদগামী দুষ্কৃতকারী সেনা সদস্যদের হাতে। শেখ কামাল যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি ছিলেন একজন বড় মাপের সাংস্কৃতিককর্মী। ক্রীড়াঙ্গনেও তার অবদান ছিলো বিশাল। অসামান্য সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী শেখ কামাল মুক্তিযুদ্ধেও সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন। শেখ কামাল আসলে এক অনন্য মানুষ ছিলেন। অনেক গুণে গুনান্বিত এই মানুষটির বিচরণ যেমন ছিলো ক্রীড়াঙ্গনে, সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে। বলা যায়, কোথায় ছিলেন না তিনি? প্রধান বক্তা বঙ্গবন্ধু হোমিও ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি উপাধ্যক্ষ ডা. চন্দন দত্ত বলেন, তরুণ সমাজ শেখ কামালের জীবন থেকে অনেক শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেন। তরুণ সমাজের কাছে তার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে অনেক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ বাকি আছে। শেখ কামালের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে হয়, নতুন প্রজন্মের সেদিকে মনোনিবেশ করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় হোমিও ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সভাপতি ডা. রতন চক্রবর্তী, সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহ সভাপতি দিপাল কৃষ্ণ মহাজন, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল হক মুন্না, মো. হাসান, কে. এইচ. এম. তারেক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট আমরা শেখ কামালকে হারিয়েছি। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখতেন, তা আরও আগেই তিনি বাস্তবায়ন করতেন। আজ আমরা এখানে এসেছি তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে। আমরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। একইসঙ্গে ১৫ আগস্ট যারা শাহাদাত বরণ করেছেন, তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031