চট্টগ্রাম : ছাত্রদল নেতার হাত-মুখ বাঁধা লাশ

নিহত নুরুল আলম নুরু কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাসা চট্টগ্রাম নগরীর চন্দনপুরায়।

বুধবার রাত ১২টার দিকে বাসা থেকে তাকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে স্বজনদের দাবি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান এলাকায় কর্ণফুলী নদীর পাড়ে নুরুর লাশটি পাওয়ার কথা পুলিশ জানায়।

রাউজান থানার এসআই নুরুন্নবী ঘটনাস্থল থেকে টেলিফোনে বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে তারা ঘটনাস্থলে যান।

“তার হাত রশি দিয়ে ও মুখ ওড়না দিয়ে বাঁধা। শরীরের মাথা ও মুখের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।”

নুরুর ভাগ্নে রাশেদুল ইসলাম বলেন, “রাত ১২টার দিকে ছয় থেকে সাতজন সাদা পোশাকে এবং দুই-তিনজন জেলা পুলিশের পোশাক পরা লোক এসে নুরুকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়।”

যারা ধরে নিয়েছিল, তারা কোনো কথা বলেনি বলে জানান তিনি।

রাশেদুলের দাবি, সাদা পোশাকে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদবীর একজন কর্মকর্তাকে তারা চিনতে পেরেছেন।

বুধবার রাতে তুলে নেওয়ার পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন ছাত্রদল নেতাকে দলীয় নেতা নুরুর ছবি দিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিতেও দেখা গেছে।

পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে এসআই নুরুন্নবী বলেন, “পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে। তারা এখনও এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেনি।”

বুধবার রাতে রাউজান থানা পুলিশের কোনো অভিযান ছিল না বলেও জানান থানার সেকেন্ড অফিসারের দায়িত্বে থাকা নুরুন্নবী।

এদিকে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নুরুকে পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, “গতকাল (বুধবার) তার পরিবারের সদস্যরা দেখেছে, প্রকাশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে।

“এটা শুধু না, এরকম অসংখ্য ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা। কিন্তু একটি সাধারণ চিত্র হচ্ছে, পরিবারের লোকেরা দেখছে, প্রতিবেশীরা দেখছেন, আশ-পাশের লোকেরা দেখছেন, ছেলেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।”

নুরু হত্যার প্রতিবাদে রোববার দেশের সব জেলা-মহানগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031