সঞ্চয়পত্র-আবগারি শুল্ক নিয়ে সরব এমপিরা

বুধবার সংসদে বাজেট আলোচনায় সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনাও করেছেন।

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর আগে অগামী জাতীয় নির্বাচনের কথা মাথায় রাখার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য তানভীর ইমাম।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে তানভীর বলেন, “সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানোর আগে রাজনৈতিকভাবে এটা বিবেচনা করতে হবে। সব দিকে সুদের হার কমানোর আগে বিকল্প বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা উচিৎ। মনে রাখতে হবে ২০১৮ সালে তারা হবে আমাদের সম্মানিত ভোটার।”

আগামী দুই মাসের মধ্যে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হবে বলে গত ২ জুন বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।

নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারের ‘শেষ কার্যকর বাজেটে’ সংসদের প্রতি আসনের জন্য ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প রাখার আহ্বানও জানান সংসদ সদস্য তানভীর।

ক্ষমতাসীন দলের আরেক সদস্য হাবিবে মিল্লাত বলেন, “অল্প আয়ের মানুষের কথা চিন্তা না করে বেশি আয়ের মানুষের কাছ থেকে কর নেওয়ার বিষয়টি চিন্তা করতে হবে।

“শুধু খামোশ বা রাবিশ বলে দায় এড়ানো যাবে না। অর্থমন্ত্রী আর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আছে, সবাইকে বোঝাতে হবে, কর আরোপের ফলে কার ক্ষতি হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “সামনে নির্বাচন। এখন অনেকে বিদেশ থেকে টাকা এনে চরিত্র হননের কাজ করছে। গণমাধ্যমে রিপোর্ট আসছে। এগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।”

প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাজেট বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন

“বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন। ঘাটতি বাজেট বাস্তবায়ন আরও কঠিন। এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের সক্ষমতা নেই। কী করে এত অর্থ আদায় করবে? অর্থমন্ত্রী সব মানুষের ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন।”

প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরশীলতা বেশি দেখানো হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

“বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ খুশি নয় বলে পত্রিকায় খবর এসেছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্কের কারণে ভালো দিক চাপা পড়ে গেছে।”

অর্থমন্ত্রী ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি স্থিতি থাকলে আবগারি শুল্ক বিদ্যমান ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকার প্রস্তাব করেছেন। টাকার অঙ্ক বাড়ার সঙ্গে কয়েকটি স্তরে শুল্কও বাড়বে।

জাতীয় পার্টির ইয়াহিয়া চৌধুরী ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক আরোপের সমালোচনা করে একে ‘পাপকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

“সমাজের জন্য ক্ষতিকারক জিনিসের উপর আবগারি শুল্ক আরোপ করা হয়। আমার প্রশ্ন হলো- আমার বৈধভাবে অর্জিত টাকা কীভাবে পাপকরের আওতায় আনা হল?”

“এক লাখ টাকার মালিকদের সম্পদশালী বলে অর্থমন্ত্রী ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলেছেন। মানুষকে উপহাস করেছেন।”

থানচি সীমান্ত সড়কের ব্রীজ উদ্বোধন ও ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন পাহাড়ে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ শান্তির পরিবেশ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে —–ব্রিঃ জেঃ মোঃ শামসুল আলম

চবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাঙ্গামাটির দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয় পরিদর্শন দৈনিক গিরিদর্পণ পার্বত্য অঞ্চলের গণমাধ্যম ইতিহাসের অমূল্য দলিল —–অধ্যাপক শাহাব উদ্দীন নীপু ৪৩ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দৈনিক গিরিদর্পণ আজো নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে —–সম্পাদক মঞ্জুরাণী গুর্খা

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930