ঝুঁকির মুখে রাজস্থলীর দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু

॥ চাউচিং মারমা, রাজস্থলী ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রথম ও বাংলাদেশের দীর্ঘতম রাজস্থলী ঝুলন্ত সেতু এখন প্রচন্ড ঝুকির মুখে রয়েছে। দেখভাল করার কেউ নেই বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, রাজস্থলী উপজেলায় ১নম্বর ঘিলাছড়ি ইউপি ও রাজস্থলী বাজারের সাথে উপজেলা সদর এবং ২নম্বর গাইন্দ্যা ইউপির সহজে সংযোগ স্থাপনের জন্য নির্মিত হয় ১৯৮৭ই সালে। তখন থেকে এই ঝুলন্ত সেতু দিয়ে প্রতিদিন কৌমলমতি ছাত্র-ছাত্রী, নিত্যপন্য বাজারজাত করণ, প্রশাসনিক কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবাসহ সকল প্রকার মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করে থাকে। সেতুটির উপর অতিরিক্ত যাতায়াত, উপযুক্ত সংস্কার অভাব ও অতিবৃষ্টির ফলে নিচের পাটাতন ভেঙ্গে পড়েছে।
দেখা গেছে, প্রায় পাচঁশটি সংযুক্ত পাটাতনের মধ্যে শতাধিক পাটাতন ভেঙ্গে দুলে আছে। ভাঙ্গার অংশের হালকা পাটাতন বসিয়ে ঝুকির মধ্যে চলছে প্রতিদিন হাজারো মানুষ। প্রায় ষাট ফুট উচ্চতার উপরের এই ঝুলন্ত সেতু ঝুলছে এখন হাওয়ার উপরে। যে কোন সময় দুর্ঘটনা হতে পারে! তবুও বাইপাশের কারণে চলছে মানুষগুলো। তবে, স্থানীয় লোকজনের দুঃখ শেষ নেই। অভিযোগও ভরপুর। কেন? এই সেতুটি সংস্কার হচ্ছে না। সেতুটি সংস্কারের জন্য নেতানেত্রী, রাজনীতিবিদ, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কি করছে?
উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও রাজনীতিবিদের সূত্রে জানা গেছে, এই সেতুটি ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ১৯৮৭ইং সালে ২৩ইষ্ট বেঙ্গল ডেয়ারিং টাইগার্সের সকল সৈনিকদের শ্রমের নির্মিত করা হয়। সেতুটি নির্মাণ শেষে শুভ উদ্বোধন করেন, তৎকালীন জিওসি ২৪ পদাধিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল সামাদ। দীর্ঘদিন সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রনে সংস্কার ও দেখভার দায়িত্ব ছিল। তারপর চলে আসে উপজেলা প্রশাসনে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনে বরাদ্দ অপ্রতুলতার কারণে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌলশ বিভাগের এডিপি প্রকল্পের আওতায় সংস্কার হয়ে আসছে। এবারের সংস্কারের জন্য কোন কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক ক্ষমতার দন্ড।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা উন্নয়নের বরাদ্দের অপ্রতুলতা। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় অভাব বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনী উপর ন্যস্ত না থাকায় এ সেতুটি সংস্কারের সম্ভব হচ্ছে না। এখন এলাকার সুশীল নাগরিকদের বক্তব্য ঝুলন্ত সেতুটি কবে সংস্কার হবে? এ সেতুটির উপর কোন প্রকার দুর্ঘটনা হলে দায়ী কারা হবে?

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031