
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবৈধ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস, বন্ধের দাবীতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ ও সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচেতন পার্বত্য বাসীর আয়োজনে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) সকালে এ সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে একটি মহলের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তা প্রতিহত করতে পাহাড়ের সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানানো হয়।
সমাবেশের আগে সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল বের করা হয়। সন্ত্রাস বিরোধী এ বিক্ষোভে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ যোগ দেন। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সচেতন পার্বত্যবাসীর আহ্বায়ক মোঃ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও বাঙ্গালী ছাত্রপরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবের সঞ্চালনায় আয়োজিত সমাবেশে সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে ব্যবসায়ী নেতা হাজী জহির আহম্মদ, আনোয়ার মিয়া বানু, আব্দুর শুক্কুর, পৌর প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন টিটু, বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গির আলমসহ বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস চাঁদাবাজীর কারনে ব্যবসায়ী ও পেশাজীবি সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে তারা পাহাড়ের আনাচে কানাচে সাধারণ মানুষকে নীপিড়ন নির্যাতন চালাচ্ছে এবং চাঁদাবাজি করছে। আর তাদেরই স্বার্থান্বেষী একটি মহল পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্র করছে, পাহাড়ের চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের কাছে এখানকার মানুষ আজ জিম্মি। সন্ত্রাসীদের জিম্মিদশা থেকে বাঁচতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ফিরোজা বেগম চিনু আরো বলেন, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের ব্যানারের ছত্রছায়ায় থেকে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের প্রতিনিয়ত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজীর কারনে ব্যবসায়ী ও পেশাজীবি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ আজ অতিষ্ঠ। অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে তারা পাহাড়ের আনাচে কানাচে সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত নীপিড়ন ও নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোড়দার করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সরকার সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃ তাত্ত্বিক জনগোষ্টি নামে পরিচিতি নির্ধারন করলে ও আজ তারা নিজেদের আদিবাসী দাবী করছে, যা সংবিধান লংঘনের অপরাধের সামিল। বক্তারা আরো বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারে থেকে অনেকে নিজেদের আদিবাসী বলে পরিচয় দিচ্ছে তাদের অবিলম্বে অপসারন করতে হবে। তারা বলেন, পাহাড়ে যতদিন ষড়যন্ত্র আর সন্ত্রাসী তৎপরতা চলবে ততদিন সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করা হবে। পাহাড়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবী জানান বক্তারা।