বহুল আলোচিত বাবরি মসজিদ নিয়ে যে জট ছিলো তা কেটে গেছে। নতুন করে আরেকটি মসজিদ নির্মাণ হবে

মসজিদের জন্য ভারতের উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া পাঁচ একর জমি গ্রহণ করেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। সোমবার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

তবে নাম বাবরি মসজিদই হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ওয়াকফ বোর্ড।

সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান জুফার ফারুকি বলেন, আজকের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকার যে জমি আমাদের দিয়েছে, তা গ্রহণ করা হবে।

ওই জমিতে মসজিদ করা হবে। তার সঙ্গে একটি ইন্দো-ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, একটি দাতব্য হাসপাতাল ও একটি লাইব্রেরিও তৈরি হবে।

মসজিদের নাম কি বাবরি মসজিদই হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মসজিদ তৈরির জন্য একটি ট্রাস্ট করা হবে। ট্রাস্টই নামের সিদ্ধান্ত নেবে। এর সঙ্গে বোর্ডের কিছু করার নেই।

স্থানীয় মানুষের চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই মসজিদ কত বড় হবে, তা ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মসজিদের কাঠামোও বাবরি মসজিদের মতো হবে কি না, সে বিষয়েও কিছু বলতে চাননি ফারুকি।

উত্তরপ্রদেশ সরকার মসজিদের জন্য যে জায়গাটি দিয়েছে তা অযোধ্যা থেকে বেশ অনেকটা দূরে, লখনৌ-ফৈজাবাদ মহাসড়কের ধারে একটি গ্রামে।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং এর সহযোগী সংগঠনের হিন্দু কর্মীরা অযোধ্যাতে ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। যে স্থানে মসজিদটি নির্মাণ করা হয় সেটি না কি রাম জন্মভূমি বলে দাবি করা হয়।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর ভারতে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মাঝে সৃষ্টি হয় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, যা কয়েক মাস ধরে চলে।

গত বছরের নভেম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, অযোধ্যার মূল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরিতে কোনও বাধা নেই। তবে মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যাতেই বিকল্প পাঁচ একর জমি দিতে হবে সরকারকে। সেই রায়ের পরেই জমির খোঁজ করতে শুরু করে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

শেষ পর্যন্ত গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ওই পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করা হয়।

কিন্তু এই বরাদ্দ দেওয়া জমি গ্রহণ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। মুসলমানদের এক পক্ষ জমি নিতে অস্বীকার জানায়। শেষপর্যন্ত সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাতে অযোধ্যায় মসজিদ তৈরির জন্য ওই জমি গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প ছিল না। খবর: আনন্দবাজার, বিবিসি

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031