
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯ পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাঙ্গামাটি ২টি পৌরসভা ও ১০টি উপজেলার ২১৩টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়। কোন বিরতী ছাড়া বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন করা হবে। শীতের সকালে রাঙ্গামাটির ভোট কেন্দ্রগুলোতে পাহাড়ী-বাঙ্গালী ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সকাল ৮টা থেকে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট প্রদানের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে তারা একে একে ভোট প্রদান কক্ষে প্রবেশ করে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেখা গেছে। ভোট প্রদান শেষে তারা যার যার অবস্থানে চলে যাচ্ছেন। তবে বিশেষ করে ভোট কেন্দ্রগুলোতে মহিলা উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
রাঙ্গামাটির আসনের মোট ভোটার ৪,৭৪,৪৫৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২,৪৭,৪১৬ ও মহিলা ২,২৭,০৩৬ জন। রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলার ২১৩টি কেন্দ্রের ১ হাজার ১২১টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ‘হেলিসর্টি’ কেন্দ্র-১৮টি।
দুর্গম পাহাড়ের এই ১৮টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ও দীর্ঘপথ পায়ে হেটে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও নির্বাচনকর্মীদের যেতে হয়েছে। আর ১৮টি হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে বাঘাইছড়িতে ৫টি, বরকল উপজেলায় ২টি, জুরাছড়ি উপজেলায় ৮টি ও বিলাইছড়ি উপজেলায় ৩টি।
রাঙ্গামাটির একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে বর্তমান এমপি দীপংকর তালুকদার, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট মনোনীত প্রার্থী ছড়ি প্রতীক নিয়ে অমর কুমার দে ও তৃণমূল বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সোনালি আঁশ প্রতীক নিয়ে মো. মিজানুর রহমান।
সকাল ১০টায় রাঙ্গামাটি ২৯৯নং আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদার তার নির্বাচনী ভোট কেন্দ্র চম্পক নগর এলাকার ওয়াপদা রেষ্ট হাউজ কেন্দ্রে তার ভোট প্রদান করেন। ভোট প্রদান শেষে তিনি কাপ্তাই উপজেলায় নির্বাচন কার্যক্রম পরিদর্শনে রওনা হন।