
নিজস্ব প্রতিবেদক :: রাঙ্গামাটির সুর নিকেতনে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত বরেণ্য কবি মৃত্তিকা চাকমা কে সংবর্ধনা প্রদান, কবিতা আবৃত্তি ও একুশের গানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয?েছে। বুধবার (২১শে ফেব্রুয়ারী) বিকেল শহরের জেল রোড, কন্ট্রাক্টর পাড?াস্থ সংগীতালয? সুর নিকেতন কার্যালয?ের মিলনায?তনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক ও ভাষা সৈনিক একেএম মকছুদ আহমেদ। এতে সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সুর নিকেতনের উদ্যোগে প্রতিবছর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস টি পালন করা হয?। কবি মৃত্তিকা চাকমা শুধু কবি নয?, তিনি একজন সাহিত্যিক। একজন কবি হিসেবে তাকে একুশে পদক বা স্বাধীনতা পদক দেয?ার দাবি জানান। হতাশা প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, এই বছর কোন সাংবাদিককে একুশে পদক প্রদান করা হয?নি। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছে না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কবি মৃত্তিকা চাকমাকে সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করায? প্রধানমন্ত্রী ও বাংলা একাডেমী কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এতে সংবর্ধিত অতিথি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, সাপ্তাহিক বনভূমি পত্রিকার মাধ্যমে আমার হাতে খড়ি । মকছুদ আহমেদ আমার গুরু । তার হাত ধরে আমার এতটুকু আসা। তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তাকে বাংলা একাডেমি পুরুষ্কার প্রদান করায় সরকার প্রধানকে এবং বাংলা একাডেমি সংশ্লিষ্ট সকল কে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি শাখাওয?াত হোসেন রুবেল, পার্বত্য অঞ্চলের কবি শিশির চাকমা, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী ও সুর নিকেতনের শিক্ষার্থী ও শিল্পীবৃন্দরা। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংবর্ধিত অতিথি বাংলা একাডেমীর সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয?ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয?।