॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে রাঙ্গামাটিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার রাঙ্গামাটি জেলার ৪৪টি পুজা মন্ডপে শুরু হচ্ছে শারদীয়া দুর্গোৎসব। আনন্দঘন ও শান্তিপুর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা পালনে প্রতিটি পুজা মন্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: সাইফুল ইসলাম জানান, সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজাকে ঘিরে এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়াসহ প্রতিটি পূজা মন্ডপকে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। আশা করছি এবার শান্তিপুর্ণভাবেই জেলায় শারদীয়া দূর্গোৎসব উদযাপিত হবে।
রাঙ্গামাটি তবলছড়ি শ্রী শ্রী রক্ষা কালি মন্দিরের পুরোহিত রনধির চক্রবর্তী জানান, শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশা করি আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এবারের দূর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পারবো।
তিনি জানান, আজ শুভ মহালয়া। আজ থেকে দেবীপক্ষ ও শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নের শুরু। আর এর মাধ্যমে সনাতন সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আগমনী সুর বেজে উঠবে। বুধবার (২ অক্টোবর) মহালয়ার দিনে ভোর থেকে পূজামন্ডপগুলোয় চন্ডীপাঠ, পূজার্চনা আর ঢাকের বোলে দুর্গাদেবীকে আহ্বান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শারদীয়া দূর্গোৎসবকে ঘিরে প্রতিটি পুজামন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন শিল্পীরা। এখন চলছে রং-তুলির আঁচড়ে প্রতিমা রাঙিয়ে তোলার কাজ। পাশাপাশি চলছে সাজ-সজ্জা ও আলোকসজ্জার কাজ।
এ বিষয়ে রাঙ্গমাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, এবার শারদীয়া দুর্গোৎসব শান্তিপুর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে পূজোর সার্বিক বিষয় নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। আশাকরছি এবার আনন্দঘন পরিবেশেই রাঙ্গামাটিতে দুর্গোৎসব পালিত হবে।
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামী ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর) বুধবার দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও মহাষষ্ঠি পূজার মাধ্যমে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ আশ্বিন (১০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার দুর্গাদেবীর মহাসপ্তমী, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) শুক্রবার মহাষ্টমী, ২৭ আশ্বিন (১২ অক্টোবর) শনিবার মহানবমী এবং ২৮ আশ্বিন (১৩ অক্টোবর) পূজা হবে। দশমীর দিন পূজা সমাপন ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের মধ্যদিয়ে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ অসাম্প্রদয়িক চেতনা নিয়ে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ভাবে শারদীয় উৎসব পালন করবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।