॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিধ কাজল তালুকদার বলেছেন প্রতিবন্ধীদের কল্যানে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ অগ্রধিকার দিয়ে কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজে যাতে আরো সুস্থ ও সুন্দরভাবে তাদের জীবন অতিবাহিত করতে পারে সে লক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করবে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটিতে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিধ কাজল তালুকদার এ কথা বলেন।
অন্তর্ভূক্তিমুলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মামানে বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগন এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সকালে রাঙ্গামাটি সমজসেবা অধিদপ্তরের র্যালী শেষে জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও সমাজ কল্যাণ বিভাগের আহবায়ক সাগরিকা রোয়াজা, জেলা পরিষদের সদস্য লুতফর নাহার জিমি, দৈনিক গিরিদর্পনের সম্পাদক আলহাজ্ব একে এম মকসুদ আহমেদ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুলে প্রতিষ্ঠাতা নুরুল আবছার প্রমুখ। সভায় রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্য অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়।তারা আমাদেরই পরিবাদের সদস্য। তাই পরিবার ও সমাজ থেকে তাদের কল্যানের কথা চিন্তা করতে হবে।
প্রতিবন্ধীদের কল্যানে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সরকারী ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো আন্তরিকতার সাথে প্রতিবন্ধীদের কল্যানে কাজ করলে প্রতিবন্ধীরা সুষ্ঠভাবে বসবাস করতে পারবে এবং তারা তাদের জীবন অতিবাহত করতে পারবে।
রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন, রাঙ্গামাটিতে শুরুমাত্র প্রতিবন্ধিদের জন্যই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কারখানার ব্যবস্থা করা গেলে তাদের জীবনমান আরো এগিয়ে যেতো। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরিসরে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করে শুরু মাত্র তাদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হলে প্রতিবন্ধীরা তাদের জিবিকা নির্বাহের একটি উপায় খুজেঁ পেতো। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মতো উন্নয়ন সংস্থাগুলো প্রতিবন্ধীদের জন্য ক্ষুদ্র পরিসরে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও সমাজ কল্যাণ বিভাগের আহবায়ক সাগরিকা রোয়াজা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় সমাজসেবা অধিদপ্তর কাজ করছে। প্রতিবন্ধীদের কল্যানে সমাজ সেবা বিভাগের এ কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত হয় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সে বিষয়ে সম্ভাব্য সব রকম সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
পরে রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল থেকে অংশ নেয়া ক্রীড়া ও মেধায় প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জন করায় প্রতিবন্ধী অংলা মং মারমা ও মেধা চাকমাকে সন্মাননা স্মারক দেয়া হয়। এছাড়া সমাজ সেবা বিভাগ থেকে ১১ জন প্রতিবন্ধীকে চিকিৎসা সহায়তা সহ বিভিন্ন অনুদান প্রদান করা হয়।