মন্তব্য প্রতিবেদন : তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের এলজিইডি’র বেহাল দশা, সময় থাকতে লাগাম টেনে না ধরলে মারাত্মক ক্ষতি হবে

॥ আলহাজ¦ এ কে এম মকছুদ আহমেদ ॥
তিন পার্বত্য জেলা যথাক্রমে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের এলজিইডি’র (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) এর কার্যক্রমে বেহাল অবস্থা, দ্রুততম সময়ে লাগাম টেনে না ধরলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। যা পরিশোধ করা যাবেনা। জনগণও ক্ষমা করবে না।
তিন পার্বত্য জেলার প্রতি জো সদরে প্রধান কার্যালয় এবং প্রতিটি উপজেলা ১টি করে মোট ২৫টি উপজেলায় উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস রয়েছে। এই সব উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নের প্রায় শত করা ৫০ ভাগ কাজ এইগুলো দিয়ে করা হয়। বিশেষ করে সড়ক, ব্রীজ, কালভাট এবং বিভিন্ন ভবনের উন্নয়ন কাজ করে থাকে। কিছু কিছু কাজ বিদেশীদের কাছেও সুনাম অর্জন করেছে।
বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সে ধারণা ভুল’। এই দপ্তরগুলো দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এইসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেছে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি সদরের এলাজিইডি’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতেও এই অবস্থা। রাঙ্গামাটির লংগদুতে অন্য রকম অবস্থা বিরাজ করছে। খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, পানচড়ির অবস্থা একই রকম।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা, রুমা, থানচি, আলীকদম ও রোয়াংছড়ি অত্যন্ত প্রত্যন্ত হওয়ার কারণে দূর্নীতি বেশী হচ্ছে। এছাড়া রাঙ্গমাটি জেলার রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, কাউখালী, কাপ্তাই উপজেলার অবস্থাও একই অবস্থা।
দূর্গম এলাকার কারণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা তেমন সফর করেন না। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও তেমন গুরুত্ব দেন না। প্রত্যেকটি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসনের জোর নজরদারী দরকার। এছাড়াও এলজিইডি’র উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপজেলা এলাকা প্রকল্পস্থান পরিদর্শন করা অত্যন্ত আবশ্যক। এছাড়াও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপজেলা প্রকৌশলীদের কার্যক্রমের তদারকী করা অত্যন্ত জরুরী। যেখানে উন্নয়নের অর্ধেক বরাদ্দ এলজিইডি’র মাধ্যমে কাজ করা হয় সেখানে এই ধরনের বেহাল অবস্থা কোন রকমেই মেনে নেয়া যায় না।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031