
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হলে অধিকার আদায়ে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, পাঠ্যবই থেকে আদিবাসী লেখা গ্রাফিতি মুছে দেয়া ও গ্রাফিতি স্থাপনের দাবির আন্দোলন করতে গিয়ে সন্ত্রাসী লোক হামলা চালিয়ে। তারা আগে ভাগে প্রস্তুত পরিকল্পিত ভাবে হাতে লাঠিসোটা, ক্রিকেট বেড, লাঠির সাথে জাতীয় পতাকা বেধে রেখেছে সেই পতাকাও ছুড়ে মেরেছে আর এতে জাতীয় পতাকাও অবমাননা করেছে। এখন যদি একজন আদিবাসী করতো তাহলে অপরাধ। কিন্তু একজন বৃহত্তর জনগোষ্ঠির লোক সন্ত্রাসী লোক সে পতাকাকে অবমাননা করেছে কোন কিছু নাই। এই হলো আমাদের বৈষম্য বিরোধ সরকার, বৈষম্য বিরোধ দেশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতির আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৫৩ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করুন এই প্রতিপাদ্যে গনসমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য গুনেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে উক্ত সভার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট ভবতোষ দেওয়ান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে জাতি সংঘ থেকে বলা হয়েছে এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনো মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে। এটা কিন্তু সহজ ব্যাপার না। বিভিন্ন সংস্থা থেকে এটা উঠে এসেছে। তাই সাধিকার, অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে আলোচনা সভার উদ্বোধন করা হয়।