ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়ার মিশনে দারুণ করেছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজের দুইদিন আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ড উল্ভসের বিরুদ্ধে ১৯৯ রানের বিশাল জয় পেয়েছে মাশরাফি মুর্তজার দল।
এর আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই রানের পাহাড় গড়েছিল টাইগাররা। সে ধারাবাহিকতায় বুধবার নিজেদের ছাড়িয়ে যায় মাশরাফিবাহিনী। সাব্বির-তামিমদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে প্রায় ৪০০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দলটি। সে রানে চাপা পড়ে রীতিমত পৃষ্ঠ হয় আইরিশরা।
বেলফেস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাবে বাংলাদেশের দেওয়া ৩৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি উল্ভস। ৫১ রানের ওপেনিং জুটি এনে দেন দুই ওপেনার। এমনকি ৩০ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৪৫ রান। কিন্তু এরপরই বাংলাদেশি বোলারদের তোপে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আইরিশশিবির।
ফলে মাত্র ১৯৫ রানেই শেষ হয় উল্ভসের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার জ্যাক ট্যাকটর।
বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের পর বোলাররাও দারুণ প্রস্তুতি সেরে নেয়। মাত্র ১৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট পেয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের আরও তিন বোলার। মাশরাফি ৩১, রুবেল ৩৫ ও সাকিব ৩২ রান খরচ করে দুটি করে উইকেট পান। এ ছাড়া শুভাশিস ও সৌম্য পান ১টি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আইরিশ বোলারদের ওপর চড়াও হন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। শুরুটা করেন তামিম। ৪৯ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করা তামিম সাজঘরে ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৮৬ রানে। মাত্র ৭৪ বলের ইনিংসে ১৪টি চারের সঙ্গে দুটি ছয় মেরেছেন বাঁহাতি তামিম।
তিন নম্বরে নামা সাব্বিরও ছিলেন মারমুখী। ৮৬ বলে ঠিক ১০০ রান করে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে আউট হন তিনি। নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৬টি চার ও একটি ছয়ে। তামিম-সাব্বিরের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১০৩ রান।
সাকিব আল হাসান ২৭ বলে ৪৪, মোসাদ্দেক হোসেন ২৭ বলে ৩১, মুশফিকুর রহীম ২৪ বলে ৪১ ও মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ৪৯ রান করেছেন। তাতেই উল্ভসকে রানচাপা দেয় বাংলাদেশ।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৯৪ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করে টাইগাররা। স্বাগতিকদের পক্ষে শেন গেটকেট ৬০ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ৬৯ রানে পেয়েছেন দুটি উইকেট।