এফডিসিতে শিল্পী সমিতিতে তখন নতুন করে ভোট গণনা চলছিল। নির্বাচন কমিশনার ও আপিল বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে সেখানে ছিলেন একসময়ের দাপুটে নায়ক-নায়িকা এবং এবারের নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ওমর সানী ও কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য মৌসুমী। বাইরে সহশিল্পীদের অপেক্ষা। গণমাধ্যমের সঙ্গে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেরিয়ে পড়ার সময় কান্নার শব্দ শোনা যায়। সহশিল্পীরা শুরুতে ওমর সানীকে ঘিরে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকেন। সবাইকে নিজের মতো করে সান্ত্বনা দিয়ে গাড়ির দিকে এগিয়ে যান সানী। এরপর মৌসুমী বের হলে তাঁকেও ঘিরে ধরেন অনেক সহশিল্পী।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে এভাবেই মৌসুমী ও ওমর সানীকে এফডিসি থেকে বিদায় জানায় সহশিল্পীদের একটা অংশ।
মৌসুমী ও ওমর সানীকে জড়িয়ে ধরে যাঁদের সবচেয়ে বেশি কাঁদতে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্য আছেন কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত কমল ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জেসমিন। তাঁদের দাবি, সভাপতি পদে ওমর সানীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিল্পীদের কাছে তিনি যতটা জনপ্রিয়, তাঁর হারার কোনো কথা না।
মৌসুমী-ওমর সানী দম্পতি তাঁদের সবাইকে বুকে টেনে সান্ত্বনা দেন। মন দিয়ে সবাইকে কাজ করে যেতে বলেন।
মৌসুমী বলেন, ‘আমি আসলে ওদের এমন আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ দেখে কী বলব বুঝতে পারছি না। এটাই আসলে আমাদের শিল্পীসমাজ। এমন একটা পরিবেশ-পরিস্থিতি আজ তৈরি হবে, এটা বুঝতে পারিনি। সব শিল্পীকে ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি।’
সহশিল্পীদের কাছ থেকে এমন ভালোবাসা পেয়ে ওমর সানীও চোখের পানি আটকাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘এখনো কেউ মানতেই চায় না আমি হেরেছি। তারা হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছে। শিল্পীরা আমাকে যে এভাবে ভালোবেসেছে, এটাই আমার জন্য সবচেয়ে বড় বিজয়। আমি শুধু এটুকু বলব, আমার পুরো অভিনয়জীবনে এমন নির্বাচন দেখিনি।’