রোববার বিকাল থেকে ভারি বর্ষণ চলছে। মাঝে মাঝে বৃষ্টি কমলেও কখনও পুরোপুরি থমেনি।
পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে সোমবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি শহরে মাইকিং করছে প্রশাসন।
২০ দিন আগে পাহাড় ধসের ঘটনায় খোলা পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, জেলায় পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র গত বর্ষণে খোলা হয়েছিল। প্রয়োজন হলে আবার সে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, তিনি সোমবার সকালে জেলা শহরের কলাবাগান, নেন্সিবাজার, শালবন, হরিনাথ পাড়া গ্যাপ, আঠার পরিবার এলাকা পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরে যেতে অনুরোধ করেছেন।
এছাড়া খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার উদ্যোগে জেলা শহরে মাইকিং করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
গত ১২ জুন রাতে প্রবল বর্ষণে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামসহ দেশের ছয় জেলায় দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২০ জন মারা যায় রাঙামাটিতে। দুদফার পাহাড় ধসে খাগড়াছড়িতে চার জনের মৃত্যু হয়। আহত হন নয় জন।