॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ বান্দরবানে সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা বিষয়ক ও জেলার সামগ্রিক প্রেক্ষাপট নিয়ে পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে সেনা সদর জোনের টু আইসি মেজর শফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধূরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুফিদুুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন অং সুই প্রু মারমাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, গোলযোগের কারণে গত ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে মিয়ানমার হতে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ৪টি পয়েন্ট ও ঘুমধুমের ৪টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন। এরমধ্যে বড়ছন খোলায় ৭হাজার ৫’শ জন, সাপমারাঝিড়িতে ২হাজার ৫’শ জন, ফুলতলীতে ৫’শ জন, পাহাড়পাড়ায় ৫হাজার জন রয়েছে নিবন্ধিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, অনিবন্ধিতকৃত রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করার কার্যক্রম চলছে, নিবন্ধনে কার্যক্রম শেষ হলে সকল রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের বালুখালি শরনার্থী ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
সভায় আরো জানানো হয়, বর্তমানে আইন-শংৃঙ্খলাসহ সামগ্রিক বিষয় তদারকির জন্য ঘুমধুম সীমান্তে সার্বক্ষনিক একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য সদর ও ঘুমধুমে ৪টি ত্রাণ সেন্টার খোলা হয়েছে।
অপরদিকে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে একই বিষয় নিয়ে পৃথক আরো একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।