জাতিসংঘ মহাসচিব সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গাদের উপর যে সহিংসতা হয়েছে তা মধ্যাঞ্চলেও বিস্তৃত হতে পারে। এতে সেখানে নতুন করে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আহুত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উন্মুক্ত আলোচনায় এ সতর্কতার কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
এ অবস্থায় রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর সহিংসতা দ্রুত বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’ আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা, রাখাইনে সেনা অভিযান বন্ধ করা, মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীদের রাখাইনে প্রবেশ নিশ্চিত করার বিষয়েও তাগিদ দেন তিনি।
কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই রোহিঙ্গাদের নিজ গ্রামে ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
এক যুগ পর নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ব নির্ধারিত আলোচ্যসূচিতে এসেছে রোহিঙ্গা ইস্যু। ২০০৫ সালে এর আগে সবশেষ এমন বৈঠক হয়েছিল। তবে গত আগস্টে রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু হলে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা পরিস্থিতি আলোচনা চলছে নিরাপত্তা পরিষদে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের সাত সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেন, মিসর, কাজাখস্তান ও সেনেগাল ২৩ সেপ্টেম্বর ওই আলোচনার প্রস্তাব দেয়। সেই প্রেক্ষিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদের সভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন উপস্তিত আছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য দেবেন।