॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি জ্ঞান অর্জনের জন্য বিভিন্ন বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বই পড়ার জন্য পাঠাগারে নিয়মিত যাতায়াত বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান আহরণে একজন মানুষকে পরিপক্ক হতে সহায়তা করে। আর এজন্য জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র গ্রন্থাগারে নিয়মিত যাতায়াতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
তিনি বলেন, গ্রন্থাগার হচ্ছে জ্ঞান ও বিদ্যার অফুরন্ত ভান্ডার। তাই সুন্দর সমৃদ্ধ জাতি গঠনে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে গুরুত্বারোপ করেন।
রবিবার (১২নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা সরকারী গণগ্রন্থাগারের আয়োজনে গ্রন্থাগারের সম্মেলনকক্ষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা, মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান একথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা সরকারী গণগ্রস্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমা, প্রাক্তন প্রকৌশলী কিরণ বিকাশ চাকমা ও পাঠক সাগরময় ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের কোন শেষ নেই। শিক্ষিত জাতি দেশের সম্পদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষিত জাতি গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই বিতরণ করছেন।
তিনি আরো বলেন, জীবনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে জ্ঞান অর্জনে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। কারণ বই মানুষকে আনন্দ দেয়, সত্যিকার মানুষ হতে শেখায়। তাই শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারমুখী করতে এবং গ্রন্থাগারের সকল সুযোগ সুবিধা ও এর পরিবেশ সর্ম্পকে অবহিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা যেন স্কুলে পড়ালেখা সঠিকভাবে করে এবং তার পাশাপাশি তাদের সুবিধামত সময়ে গ্রন্থাগারে এসে বই পড়ে ও গ্রন্থাগারের দেওয়া সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে।
পরে বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করে অতিথিরা।