শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন প্রধান বিচারপতিকে শপথ পড়ান।

বঙ্গভবনের দরবার হলে এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক প্রধান বিচারপতিদের মধ্যে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি খায়রুল হক ও বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বর্তমান বিচারক, উচ্চ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীসহ পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শপথ শেষে শপথনামায় সই করেন নতুন প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতি। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শুক্রবার নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের আদেশে সই করেন। এর পরপরই পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারক মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, যিনি অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়ার দুই বছর পর বিএনপি সরকার আমলে ২০০৩ সালে হাই কোর্টের স্থায়ী বিচারক হন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ২০১১ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারক পদে উন্নীত হন।

সরকারি চাকরির বয়সসীমা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

শপথ অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগে প্রধান বিচারপতির পোশাকে দরবার হলে প্রবেশ করেন বিচারপতি মাহমুদ হোসেন। তার পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে পৌঁছান।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পনিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, টোলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর উপেদেষ্টা এইচটি ইমাম ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও এসেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরার ও আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।

এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম ও আবদুল বাসেত মজুমদার উপস্থিত ছিলেন শপথ অনুষ্ঠানে।

শপথের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নতুন প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

নানা নাটকীয়তার মধ্যে বিচারপতি এস কে সিনহা গত অক্টোবরে ছুটি নিয়ে বিদেশে যান এবং পরের মাসে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন দেশে। তারপর থেকে প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য ছিল।

বিচারপতি সিনহা ছুটিতে যাওয়ার সময়ই আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক আবদুল ওয়াহহাব মিঞার হাতে ওই দায়িত্বভার দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু দৃশ্যত প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ না পেয়েই চাকরির মেয়াদের ১০ মাস আগে তিনি পদত্যাগ করেন।

বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার দুই বছর পর ২০০১ সালের শুরুতে হাই কোর্ট বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব শুরু করেছিলেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তার আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করেছিলেন।

১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এলএলবি ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮১ সালে আইন পেশায় যুক্ত হন। তার দুই বছর পর ওকালতি শুরু করেন হাই কোর্টে।

নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি গঠিত দুটি সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞার পদত্যাগের পর আপিল বিভাগে এখন বিচারক হিসেবে বিচারপতি মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে আছেন বিচারপতি মো. ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031