নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চালের দরে ঊর্ধ্বগতি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটির প্রধান ৩ টি বাজারে অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
তবে গতকাল শুক্রবার রাঙ্গামাটির বাজারগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চড়া পেঁয়াজের দাম আরও একধাপ কমেছে।
বাজার ঘুরে চালের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও নতুন করে আর বাড়েনি বলে দাবি করেছেন বিক্রেতাদের কেউ কেউ।
বাজারের চাল বিক্রেতা মাসুদ মিয়াজি বলেন, আমন মওসুম শেষ হওয়ার পর এখন ধাপে ধাপে চালের দাম বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেটের দাম বেড়েছে ১/২ টাকা করে। অন্য চালের দামও বেড়েছে।
বাজারে মিনিকেট প্রতিকেজি ৬৩ থেকে ৬৪ টাকা, বিআর আটাশ ৫০ টাকা, মোটা চাল (স্বর্ণা) ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, জিরা শাইল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মিয়াজি।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি ও দেশি পেঁয়াদের দাম কেজিতে অন্তত ৫ টাকা কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
বাজারে নতুন আসা উচ্ছে, ঢেঁড়শের দাম গত সপ্তাহের মতোই চড়াভাবে রয়েছে। বাজারে এসব সবজির দাম প্রতিকেজি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।
প্রতি ডজন ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগির ডিম। মাছের বাজার কিছুটা চড়া বলে জানিয়েছেন কারওয়ান বাজারের বিক্রেতারা।
এই বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৭০০ গ্রাম ওজনের মাঝারি মানের একটি ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ৬শ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে একই আকারের মাছ সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হয়েছিল বলে এক বিক্রেতা দাবি করেন।
এছাড়া মাঝারি আকারের রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭শ থেকে ৮শ টাকায়। রুই কাতলের দাম আকার ভেদে বেশ পার্থক্য রয়েছে। বড় আকারের রই মাছের কেজি যেখানে সাড়ে ৩শ থেকে চারশ টাকা, সেখানেই ছোট রুই মাছগুলোর দাম চাওয়া হচ্ছে আড়াশই টাকা।
বাজারে রুই মাছ প্রতিকেজি সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতাল মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা বাচা ৭শ টাকা, টেংরা ৬শ’ টাকা এবং শোল মাছ ৩০০ টাকা করে দামে বিক্রি হচ্ছে।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31