গতকাল ১৫ মার্চ‘১৭ বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে অটো রিক্শা মেট্রো আরটিসি অনুমোদিত ১নং রুটসহ সকল অটোটেম্পো রুটে পারমিট বিহীন হিউম্যান চলাচল বন্ধ। ২০০৭ইং এর নীতিমালা অনুযায়ী অটো রিকশার দৈনিক মালিকের জন্য জমা ৯শত টাকার পরিবর্তে ৬শত টাকা পূর্ণবহাল। ভূঁয়া নিয়োগপত্র দ্বারা রুটে পারমিট নবায়ন বন্ধ, স্বল্প শিক্ষিত দক্ষ অটোটেম্পু চালকদের সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান। নগরীর প্রবেশমূখ কাপ্তাই রাস্তার মাথা, নতুন ব্রীজ ও অক্সিজেন এলাকায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত চট্টগ্রাম জেলা নম্বরের অটো রিকশা চালকদের কাছ থেকে জোর পূর্বক মাসিক টোকেনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধ। ২০০৭ এর অটো রিকশার নীতিমালার আলোকে অটোরিকশা-অটোটেম্পো’র জন্য পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নো পার্কিং ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নামে মামলা দেওয়া বন্ধ করাসহ ৫ দফা দাবিতে সংগঠনের সভাপতি মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি মহানগর শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, একটি কুচক্রী মহল অসাধু ব্যবসায়িরা বিদেশ হতে মিনি পিকআপ ট্রাক চেসিস আমদানি করে বিআরটিএ’র অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যাত্রীবাহী হিউম্যান হলার রূপান্তরের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন প্রদান করে সাধারণ স্বল্প আয়ের মালিকদের থেকে নামমাত্র জনা নিয়ে স্বল্প কিস্তির ফাঁদে ফেলে অধিক মূল্যে বিক্রী করে চেচিস ব্যবসায়িরা রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ থেকে তালগাছে পরিণত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মেট্রো আরটিসি কর্তৃক হিউম্যান হলার চলাচলের জন্য মেট্রো এলাকায় ১৬টি রুট সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু গাড়িগুলি নির্ধারিত রুটে পারমিট না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কিছু দুষ্কৃতিকারী অর্থলোভী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে চট্টগ্রাম মেট্রো আরটিসি/ বিআরটিএ নির্ধারিত সকল অটোটেম্পো রুটে দিনের পর দিন শত শত পারমিট বিহীন অবৈধ চার চাকার হিউম্যান হলার চলাচরের মাধ্যমে অবৈধ অটেটেম্পো সেক্টরকে ধ্বংস করে চালক-মালিকদের বেকার করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সভাপতি বাবু উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, সরকার ইতিমধ্যে অটোরিকশার দৈনিক মালিকের জমা ৬শত টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯শত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যাহা চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকার সিএনজি চালকদের উপর মরার উপর খারার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মালিকের জমা পুন:নির্ধারণের সময় ঢাকা মেট্রো ২৬৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় বসবাসরত ১ কোটি ১৮ লক্ষ, ৮৪ হাজার ৪১ জনের জন্য ১৩ হাজার সিএনজি-অটোরিকশার পারমিট প্রদান করেছে। অথচ চট্টগ্রাম মেট্রো পলিটনে ১৬৮.০৭ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বসবাসরত ৬০ লক্ষ জনসাধারণের জন্য ব্যবহারার্থে রুট পারমিট ইস্যূ করা হয়েছে ১৩ হাজার। যা ঢাকা মেট্রো এলাকার তুলনায় ৩ গুণ বেশি। তাই ঢাকা মেট্রো এলাকার সাথে পার্থক্য রেখে চট্টগ্রামের জন্য পূর্বের নীতিমালা অনুযায়ী দৈনিক মালিকের জমা ৬শত টাকা পুর্নবহাল রাখা প্রয়োজন। মানববন্ধন শেষে লাল পতাকা মিছিলসহকারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মেয়র সাহেব উক্ত দাবিগুলো যৌক্তিক মনে করে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে মিছিল সহকারে মাননীয় পুলিশ কমিশনারকে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে তাঁর পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অর্থ প্রশাসন) মাসুদুল হাসান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং আগ্রহের সহিত তা শ্রবণ করেন। তিনি ৫ দফা দাবি বাস্তবায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নেতৃবৃন্দরা মিছিলসহকারে মাননীয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং উপ পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক উত্তর) বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করার পর কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন এবং উক্ত স্মারকলিপির মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায় হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, পরিবহন শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি আবদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সহ-সম্পাদক মো: হাসান, ১নং রুট অটো টেম্পো চালক মালিক সংগ্রাম পরিষদ আহ্বায়ক মোজাম্মেল আলী নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক দিলীপ সরকার, অটো রিক্সা শ্রমিক লীগ নেতা মিজানুর রহমান, মো: বেলাল, মো: রাশেদ, মো: মহসিন, আবদুল হালিম আদু, মো: সোহেল, রফিকুল ইসলাম, মোটর চালক লীগ চাঁন্দগাও থানার সভাপতি টিটু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: হোসেন, অটো টেম্পো চালক মালিক সংগ্রাম পরিষদ নেতা ইসমত পাশা চৌধুরী, সুমন মিয়া, বাবু তুষার সেন, মো: বেলাল, মো: হারুন, মো: মোরশেদ, মো: ইকবাল, মো: জামাল, মো: মোতালেব, শ্রমিক নেতা আবদুস সালাম, মো: আরশাদ আলী, মো: বশর প্রমুখ।