পার্বত্য বাসীর রক্তের বিনিময়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পাচ্ছে না পার্বত্যবাসী : সংকট নিরসনে জরুরী ভিত্তিতে জবাবদিহিতা মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে

-ঃ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ঃ-
—————————-
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসীর রক্তের বিনিময়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পার্বত্য বাসী পাচ্ছে না, এর চাইতে দুঃখের বিষয়ে আর কিছুই থাকতে পারে না। এই সংকট নিরসনে জরুরী ভিত্তিতে জবাবদিহিতা মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। তিন পার্বত্য জেলায় মাটির নীচে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করতে হবে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য বাসীর দূর্ভোগ লাগবে রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই-রাঙ্গামাটির বিদ্যুৎ লাইনটি অতি দ্রুত মাটির নীচে লাইন স্থাপন করে দূর্ভোগ কমাতে হবে। প্রতিদিন অসংখ্যবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে থাকে যাতে জনগনের ধৈর্য্যের বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম। বিদ্যুৎ বিভাগের কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় না শুধু মাত্র অভিযোগ কেন্দ্র ছাড়া। অভিযোগ কেন্দ্রের একটিই উত্তর কাপ্তাই লাইনে ফল্ট বা ক্রুটি। অথচ এই লাইনে ক্রুটি সারানোর জন্য প্রতিনিয়তই লাইন বন্ধ রাখতে হবে। অন্যদিকে এই লাইনের মেইনটেন্সের জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে শুধু গাছ কাটার জন্য। মাটির নীচে লাইন স্থাপন করতে অনেক টাকা খরচ হবে তাতে অসুবিধা কোথায় ক্ষয়ক্ষতি কোটি টাকা বিদ্যুতের উন্নয়ন ব্যবস্থা দেয়া হয়েছে। পূর্বের দিকে যাওয়া দরকার ১৯৫৮-৬০ সালে সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কাপ্তাই এ বাঁধ দিয়ে কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সারা দেশ বিদ্যুতের আলোকিত করে সারা দেশ বিদ্যুতের আলোকিত হয়। তখন রাঙ্গামাটিবাসীর লক্ষাধিক একর জমি পানিতে ডুবিয়ে দেয়া হয় সাথে ঘরবাড়ী দালান কোঠা এমনকি রাজবাড়ী সহ । এ সময়ে লক্ষাধিক উদ্ভাস্তু হয়ে ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। তিন জেলায় খুব সামান্য পরিমান ক্ষতিপুরণ দিয়ে পনির্বাসন করা হয়েছি। (পূনঃবাসনের অনেক টাকা চট্টগ্রাম ট্রেজারীতে জমা আছে এখনও।
ঐ সময় ঘোষণা দেয়া হয়েছিল পার্বত্যবাসীদের বিশেষ করে রাঙ্গামাটির লোকজনকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেয়া হবে। কিন্তু বনিামূল্যে তো দুরের কথা অতিরিক্ত মুল্য দিয়েও রাঙ্গামাটিবাসী ঠিকভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। এর চাইতে দুঃখ আর কি থাকতে পারে?
বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৬০ বছর পার হলেও এখনও পর্যন্ত অনেক এলাকায় বিদু্যুৎ পৌঁছায়নি।
হ্রদে পানি বৃদ্ধির ফলে হাজার হাজার ঘরবাড়ী পুজে গেছে তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল, অনেকেই উদ্ভাস্তু হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড সৃষ্টি করেও রাঙ্গামাটি সহ তিন জেলায় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। এর জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করার দরকার।
বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে দায়িত্ববান কর্মকর্তাকে সার্বক্ষনিক নিয়োগ দিয়ে জনগনের অভিযোগের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনীয় গাড়ীর ব্যবস্থা করতে হবে। অবশ্যই জবাবদিহিতামুলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বর্তমানে ৫৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন জেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়নের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও তিন জন নির্বাহী প্রকৌশলী কর্মরত থাকলেও কেউ তাদের সম্পর্কে ধারণা দিতে পারেনি। সম্প্রতি গত ১২ ই আগষ্ট ২০১৮ জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি অভিযোগ করে সকলকে সজাগ থাকতে বলেছেন। উক্ত প্রকল্পের যে সব বৈদ্যুতিক পিলার স্থাপন করা হচ্ছে তা সঠিক ভাবে হচ্ছে না দায়সারাভাবে লাগানো হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হচ্ছে পড়ে যাবে। জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ অথবা যে কোন কারও তত্ত্বাবধানে জবাবদিহিতা মুলক কাজ করার দাবী তোলা হয়েছে। সাথে সাথে আইন শৃঙ্খলা সবার মাধ্যমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করা কথা হয়েছে।
এমনিতেই উক্ত প্রকল্পটি নিয়ে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এই বিষয়ে কোথাও প্রতিবাদ দিতে দেখা যায়নি। মনে হয় তাদের গয়ে লাগেনি। এই বিষয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা দরকার।
এদিকে গতকাল একটু বৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ চলে গেলো। সেই বিদ্যুৎ আসলো রাত ১১ টায়। এ কেমন বিচার। এই নিয়ে রাঙ্গামাটির সাধারণ মানুষ রাগে ক্ষোভে ফুসে শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে রাঙ্গামাটি এসপি অফিস সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন হয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তিন জেলায় তিনটি কনন্ট্রোল রুম স্থাপন করে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার।
এই বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি গোছর করা দরকার। অতি সম্প্রতি তিনি খাগড়াছড়ির সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
দুণীতি বিষয়ে সরকার এবং দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষকে সজাগ দৃষ্টি দে হবে।
এমনিতে ৪ টি আঞ্চলিক দলকে টাকা ছাড়া কাজ করতে পারে রনা। ঠিকাদারের মুনাফা ছাড়া কাজ করে না । অন্যদিকে অফিসে দুর্ণীতি হচ্ছে কাজেই সকলকে উপরোক্ত বিষয় গুলোকে নিয়ে ভাবতে হবে।

দারুল আরকাম প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত জাতি গঠনে কাজ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ——বোরহান উদ্দিন উন্নয়নমূখী পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়তে হলে প্রশিক্ষণের প্রকৃত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে —-এ কে এম মকছুদ আহমেদ প্রশিক্ষণের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আপনারা শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবেন ——মুহাম্মদ ইকবাল বাহার চৌধুরী

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930