চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

সাংসদ ও পরিবহন মালিক-শ্রমকিদের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝির অবসানের’ পর রোববার দুপুর দুইটার দিকে ধমর্ঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠকে শেষে এ ঘোষনা দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতারা। বৈঠকে সংসদ সদস্য দিদারুল আলমও ছিলেন।

ফেডারেশনের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মোহাম্মদ মুছা বলেন, সভায় গত বৃহস্পতিবারের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য সংসদ সদস্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে।

“সে কারণে আমরা ধমর্ঘট প্রত্যাহার করেছি।”

জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার পক্ষ থেকে সোম ও মঙ্গলবার পরিবহন ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার রাতে কাট্টলীতে সাংসদ দিদারুল আলমের বাসায় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহামদ ও সীতাকুণ্ডের ৮ নম্বর রুটে চলাচলকারী হিউম্যান হ্যলার মালিক সমিতির নেতাদের ডাকা হয়।

সেখানে সাংসদ দিদারুল আলম মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম ও শ্রমিকনেতা অলি আহামদকে ৮ নম্বর রুটের গাড়ি পরিচালনা ও সমিতির নিয়ন্ত্রণ তার বরাবরে লিখিতভাবে ছেড়ে দিতে বলেন। না হলে প্রতি মাসে তাকে দুই লাখ টাকা করে দিতে হবে বলে জানান।

লিখিত বক্তব্যে পরিবহন নেতা মুছা বলেছিলেন, রাজি না হওয়ায় সাংসদ নিজেই খোরশেদ আলমকে বেধড়ক মারধর করেন এবং গালিগালাজ করেন। সাংসদের বাসায় থাকা কিছু যুবকও তাকে মারধর করে।’’

সে সময় থামাতে গিয়ে ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক অলি আহামদও সাংসদের মারধরের শিকার হন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সাংসদ দিদারুল আলম অবশ্য উল্টো মালিক-শ্রমিকদের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছিলেন। তার দাবি, ওইদিন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছে, মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728