চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা ছিল দেশের একটি মানুষ ও না খেয়ে থাকবেনা, গৃহহীন থাকবেনা, ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেনা। তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি প্রদান করেও মানবাধিকারের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা হোসেন ওয়াজেদ অটিজম বিষয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বে নজির স্থাপন করার কারণে বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা কর্তৃক বহুল প্রশংসিত হয়েছেন। সচেতনতার মাধ্যমে শিশুরাসহ সকল শ্রেনি-পেশার মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকার সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যথাযথ মানবাধিকার সুনিশ্চিত হলে সমাজ, রাষ্ট্র তথা বিশ্বব্যাপী স্থিতিশলি পরিবেশ বিরাজ করবে। আজ ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন অনুষ্টানের আয়োজন করেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্টিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রত্যেক মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে একটি ‘মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষনা পত্র’ অনুমোদন করা হয়। যেখানে মানুষের মানবাধিকারের বিভিন্ন দিক ও তার সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। অথচ বিভিন্ন কারনে ও অজুহাতে দেশে-বিদেশে সর্বত্র প্রতিনিয়ত মানবাধিকারের চরম লংঘন হচ্ছে। সমতা ও বৈম্যহীনতার ভিত্তিতে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকারগুলোকে শ্রদ্ধা করা, রক্ষা করা ও পরিপুর্ণ করার বাধ্যবাধকতা সকল রাষ্ট্রের রয়েছে। সুন্দর একটি সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য মানবাধিকার বাস্তবায়ন করার কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি মানবাধিকার পরিপন্থি সবধরণের কর্মকান্ড পরিহার করতে হবে। মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলে মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে স্বোচ্চার হতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন। এর আগে সকাল ৯টায় মানবাধিকার দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আদালত ভবন এলাকার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে ডিসি’র নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, মানবাধিকার কর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ র্যালিতে অংশ নেন।