বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারে অত্যন্ত আন্তরিক। শিক্ষা প্রসারে সরকার নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ফলে শিক্ষার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসাধারণ স্বাবলম্বী হয়ে জনসম্পদে পরিণত হচ্ছে। সরকারের এই শিক্ষা প্রসারের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীও নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এখানে সেনাবাহিনীর সরাসরি অর্থায়ন ও উদ্যোগে বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও, সেনাসদস্যরা বিভিন্ন স্কুল, কলেজগুলোতে বিনামূল্যে চেয়ার-টেবিল, বই, খাতা, কলম, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করে থাকে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক সহায়তাও দিয়ে থাকে। পাশাপাশি দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাসদস্যরা পাঠশালা প্রোগ্রাম পরিচালনার মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদেরকে স্কুলে যেতে উৎসাহিত করে থাকে। ডিজিটাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করে রাংগামাটির সাজেকের মত দূর্গম এলাকাতেও শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। সেই সাথে পিছিয়ে পড়া উপজাতি জনগোষ্ঠীর শিক্ষার মান উন্নয়নে তাদের জন্য আবাসিক হোস্টেল নির্মান করেও শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখছে সেনামাহিনী। বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় মুরং কমপ্লেক্স, রুমা উপজেলার বম হোস্টেল এবং রাংগামাটির ঘাগড়াতে ত্রিপুরা মহিলা হোস্টেল যার প্রকৃত উদাহরণ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারে সেনাবাহিনীর এই অব্যাহত কর্মকান্ডে নতুন করে যুক্ত হলো বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার হ্যাপি হিল প্যারা স্কুল। হ্যাপি হিল প্যারা স্কুলটি ২০০৬ সালে ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশে (সিসিডিবি) দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। অবকাঠামোগত ও অর্থায়নের সমস্যার কারণে স্কুলটি ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ ছিল। সেনাবাহিনীর রুমা জোনের সহায়তায় স্কুলটি আজ (১৪ জানুয়ারি ২০২০) সকাল ১১টায় পুনরায় চালু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে রুমা সেনা জোন থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ সেট টেবিল এবং বেঞ্চ, ব্ল্যাকবোর্ড, বই, খাতা এবং শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদেরকে সমাজের একজন ভাল মানুষ হবার প্রেষণা দিয়ে তাদেরকে উচ্চশিক্ষা গ্রহনে উৎসাহ প্রদান করেন। এছাড়াও, সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে ভবিষ্যতে স্বাবলম্বী হয়ে দেশের জন্য ভাল কিছু করার জন্যও তাদেরকে প্রেষণা প্রদান করেন। শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন এবং তাদেরকে সমাজের একজন ভাল মানুষ হওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন।
সেনাবাহিনীর এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয় সকল জনসাধারন। পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার বিস্তারে সেনাবাহিনীর এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে রুমা জোন কমান্ডার জানান।