॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পাহাড়ের মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরতে ধরতে যার জীবন যৌবনের ৫০ টি বছর কেটে গেলে এমন এক গুনী মানুষ পাহাড়ের চারণ সাংবাদিক সংবাদপত্রের পথিকৃত, পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিক তৈরীর কারিগর দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে সম্মাননা দিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম।
গতকাল পার্বত্য চট্রগ্রাম থেকে প্রথম অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর ৬ বছরে পদার্পন উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটি চারুকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা, গুনীজন সম্মাননা ও সাংস্কতিক অনুষ্ঠানে এই গুনী মানুষের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া।
এ সময় রাঙ্গামাটি পৌর সভার প্যানেল মেয়র জামাল উদ্দিন, আইএফআইসি ব্যাংক এর ব্যবস্থাপক শোয়েব রানা, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ গৌরব দেওয়ান, রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মহিউদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা স্বপন কুমার চাকমা সহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্মাননা ক্রেষ্ট গ্রহণ কালে চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ তার সাংবাদিকতা কালে বিভিন্ন কথা তুলে ধরে বলেন, পাহাড়ের বিভিন্ন চড়াই উৎরায় পেরিয়ে পাহাড়ের মানুষের কথা তুলে ধরতে আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। পায়ে হেঁটে হেঁটে এ পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কথা বিশ^বাসীর কাছে জানাতে চেষ্টা করেছি। জানিনা কতটুকু সফল হয়েছি। সেই সফলতা টুকু পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষের হাসি, কান্না, দুঃখ, বেদনা, জীবন, সংস্কৃতি আচার অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ গুলো তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি মাত্র।
তিনি বলেন, পাহাড়ের মানুষ আজ পার্বত্য শান্তি চুক্তির সুফল পাচ্ছে। এই পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরে দৈনিক গিরিদর্পণের অবদান কম নয়। প্রতিনিয়ত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে এই চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি সব সময়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের সরকার যে ভ’মিকা রেখেছে তার অনেকাংশে আমার এবং দৈনিক গিরিদর্পণের সহযোগিতা কম ছিলো না। তিনি বলেন, এই কাজ করতে গিয়ে আমাকে অনেক অনেক বার মৃত্যুর পরোয়ানা গুনতে হয়েছে। এই অবস্থায় পাহাড়ের কাজ করে এসে আজ আমার জীবনের অর্ধেকেরও বেশী সময় পার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্তমান যুগে যারা পাহাড়ে সাংবাদিকতা করছে তারাতো সোনার চামচ মুখে দিয়ে দিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছে। তারা পাহাড়ের মানুষের কথা তুলে ধরতে পাহাড়ে পাহাড়ে হাটতে হয় না। অনলাইন যুগে ঘরে বসেই সব নিউজ পেয়ে যাচ্ছে। তার পরও বলছি পাহাড়ের সাংবাদিকতা বড় পাওয়া হচ্ছে আজ অনেক সাংবাদিক তৈরী করেছি। তারা যদি সঠিক ভাবে সাংবাদিকতা করতে পারে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারবে তরুন প্রজন্ম।