৪ থেকে ৯ এপ্রিল ২০২০ ইং পর্যন্ত সারাদেশে অনুষ্টিত হবে সপ্তাহ ব্যাপী জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২০। মোট তিন সপ্তাহব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন- ২০২০। চট্টগ্রামেও এ কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা এডভোকেসি সভা অনুষ্টিত হয়। সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে ও জেলা স্বাস্থ্য তত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্টিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জসিম উদ্দিন, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীল, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী ও জেলা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল ওয়াব। সিভিল সার্জন কার্যালয় এডভোকেসী সভার আয়োজন করেন। সভায় বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসার, শিক্ষা অফিসার, শিক্ষক, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, ইপিআই কর্মকর্তা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মী ও কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে নিয়োজিত কর্মীরা উপসিম্থত ছিলেন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানা সমূহে ৫-১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে ১ ডোজ কৃমি নাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজল ৫০০ মি.গ্রাম) সেবন করানো হবে। একই বয়সী পথ শিশু, কর্মজীবি শিশু, বেদে পরিবারের শিশু ও বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া সকল শিশুকে একই সময়ে কৃমি নাশক ওষুধ সেবন করানো হবে। ক্ষুদে ডাক্তারগণকে এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হবে। এ লক্ষ্যে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা পর্যায়ে উপলো স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাগণের সাথে সমন্বয় কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিগণের সাথে পরামর্শক্রমে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ সফল করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া কর্মসূচী সফল করতে গণমাধ্যমসহ সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা করা হবে।