চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে বাজার মনিটরিং, নদীর ঘাট/ জেটিতে সীমিত চলাচল, লকডাউনের আড়ালে অননুমোদিত দোকান বন্ধ রাখা, ওএমএস চাল বিক্রিতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিতকরণ, করোনার প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে মাইকিং, অপ্রয়োজনীয় জনসমাগম প্রতিরোধকল্পে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ১০টি ম্যাজিস্ট্রেসী টিম। পৃথক পৃথক অভিযানে ৬৫ টি মামলায় মোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সোমবার জেলা প্রশাসনের পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ পতেঙ্গা, ইপিজেড ও বন্দর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে পূর্ব নির্দেশিত পতেঙ্গার ১৫নং, ১২নং, ১৪ নং ঘাট ও স্থানীয়ভাবে পরিচিত চায়নীজ বন্দর চলাচল সীমিত থাকা এবং সমুদ্র সৈকতে স্পীড বোটের ঘাটে মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে আগত জাহাজের কর্মচারীরা স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করার সময় স্থানীয় সুপারভাজার/ম্যানেজারকে সতর্ক কওে ভবিষ্যতের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। বিভিন্ন ব্যবসায়ীক গ্রুপের জাহাজকেও কঠোর সতর্কবার্তা দেয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দর ও ডিজি শিপিং কর্পোরেশন কে অবহিত করেন ম্যাজিষ্ট্রেট। এসব এলাকায় বিভিন্ন অপরাধে ৮ টি মামলায় ৩০ হাজার ১’শ, টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরীর পাঁচলাইশ, খুলশী ও বাকলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনীক। অভিযানে মুরাদপুর এবং দামপাড়া এলাকায় টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বিক্রিকালে জনসমাগম দেখা যাওয়ায় তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এলাকাগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকাে বিভিন্ন অপরাধে ৫টি মামলায় ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নগরীর কোতোয়ালী,সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানাধীন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানানা আফরিন। অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৭টি মামলায় ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ ঘরে অবস্থান করার বিষয়ে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযানগুলোতে সহযোগিতা করেন।
নগরীর বন্দর, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। অভিযানে এলাকাগুলোতে বিভিন্ন অপরাধে ৬টি মামলায় ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরীর পাঁচলাইশ, খুলশী ও বাকলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায়। অভিযানকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় খুলশী এলাকায় ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরীর আকবরশাহ, পাহাড়তলী ও হালিশহর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম। এলাকাগুলোতে বিভিন্ন অপরাধে ৮টি মামলায় ৩ হাজার ৮’শ টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরীর চকবাজার, চান্দগাঁও, বায়েজিদ এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার। এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ২টি মামলায় মোট ২ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরীর হালিশহর,আকবর শাহ ও পাহাড়তলী এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান। এসময় এলাকাগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যতীত অন্যান্য দোকান খোলা রাখায় ১১টি মামলায় মোট ১৩ হাজার ৮’শ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে চকবাজার ও বাকলিয়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবুবক্কর সিদ্দিক। অভিযানে ৫ টি মামলায় ৩ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা করা হয়। পৃথক অভিযানগুলোতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সহযোগিতা করেন।