॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিশ্ব মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কঠোর অবস্থানে এখনো পর্যন্ত করোনা মুক্ত রয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা। রাঙ্গামাটির মানুষকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাঙ্গামাটি জেলার কর্মহীন মানুষের বাড়ী বাড়ী খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়ায় রাঙ্গামাটির মানুষের মাঝে হাহাকার কিছুটা কম থাকলেও কিছু কিছু মানুষ নিজেদের কে অতিরিক্ত অভাব গ্রস্থ করে তুলে ত্রাণের জণ্য ছুটছে প্রতিনিয়ত। তাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় জটলা সৃষ্টি করতে দেখা গেছে। এতো কিছু করার পরও মানুষের মাঝে সচেনতনতা বাড়ানো না গেলে করোনা মুক্ত রাঙ্গামাটি বলাটা খুবই মুশকিল হয়ে পড়বে। সাধারণ মানুষ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে না পারলে যে মুহুর্তে রাঙ্গামাটির মানুষের উপর করোনার মতো মহামারী ভর করতে পারে এমন আতংকে আছে সচেতন মহল।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ৫ টি টিম দিন-রাতমাঠে কাজ করছেন জেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জনসাধারণকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সাথে সেনাবাহিনীর একজন মেজর, পুলিশের একজন এসআইসহ টহল দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মশিউর রহমান ও মেজর হাবিব উল্লাহ শহরের রির্জাভ বাজার এলাকায় মাহে রমজানে যেন ব্যবসায়িরা দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং করোনা জনসচেতনতায় বাজারে আগত লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করেন সে ব্যাপারে সচেতন করতে বাজার মনিটরিং ও মাইকিং করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মশিউর রহমান ও সদর জোন ২০বীরের মেজর হাবিব উল্লাহ বলেন, জনগণকে সচেতন করাই আমাদের মূল লক্ষ। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। জরুরী কাজ শেষ করে যার যার ঘরে ফিরে যাবে। অযথা কেউ ঘর থেকে বের হবে না।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর(এনডিসি)উত্তম কুমার দাশ বলেন, জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ স্যারের নির্দেশ ক্রমে সেনা ও পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পরিচালনায় প্রতিদিন ৬-৭টি মোবাইল জনসচেতনতায় মাঠে কাজ করছে। তার পরও জনগণ অহেতুক বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ঘরের বাহিরে
যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন,সেনাবাহিনী ও পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে একমাত্র জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে। করোনা পরিস্থিতি ও জনসচেতনতায় বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন প্রশাসন,প্রয়োজনে আরো কঠোর হবে।