চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভা :: মার্কেটের প্রবেশপথে বাধ্যতামূলকভাবে ডিজইনফেকশাস চেম্বার স্থাপন করতে হবে–তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রামের হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল এর ২০টি আইসিইউ ইউনিট সরকারি ব্যবস্থাপনায় করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। এছাড়া সে হাসপাতালের আরো ৬০টি বেড আইসোলেশন এর জন্য থাকবে। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। আগামী ১০মে থেকে সীমিত আকারে দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মার্কেট চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মার্কেট বা দোকানের সামনে করোনায় মৃত্যু বিষয়ক সচেতনতামূলক ব্যানার ঝুলানো, মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার প্রভৃতি সুরক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে বজায় রাখতে হবে। মার্কেটের প্রবেশপথে বাধ্যতামূলকভাবে ডিজইনফেকশাস চেম্বার স্থাপন করতে হবে। ক্রেতা-বিক্রেতা সকলে এ চেম্বার দিয়ে প্রবেশ করবে। উপযুক্ত পরিবার যেন ত্রাণ পায় এবং যারা ত্রাণ চাইতে পারেনা বা লাইনে দাঁড়াতে পারেনা তারাও যেন পায় তার জন্য উপজেলা পর্যায়ে অধিক সমন্বয় করা হবে।  লকডাউন করা বাড়িতে পুলিশ নিয়োজিত করতে হয় বিধায় আইন-শৃংখলা রক্ষার কাজে পুলিশের সংকট দেখা দিচ্ছে। এজন্য লকডাউনকৃত বাড়িতে আনসার ও স্বেচ্চাসেবক নিয়োজিত করা যাবে । চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা, ত্রাণ কার্যক্রম, স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং আইন-শৃংখলা বিষয়ে করণীয় নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে আয়োজিত ২য় সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল প্রথম সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। চট্টগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সমন্বয়ক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন সভায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। সভাশেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং এর শুরুতে মন্ত্রী করোনা চ্যালেঞ্জের মূখে দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে একজন সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। এছাড়া ৬৩ জনের বেশি সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গণমাধ্যম লকডাউন করা যায়না উল্লেখ করে তিনি ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রেখে কাজ করার জন্য সাংবাদিকদের আহ্বান জানান। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক দেশের তুলনায় এখনো অনেক ভাল। আবার ঢাকা অঞ্চলের তুলনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিস্থিতি ভাল। তবে সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার বসে নেই। জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ।
তিনি বলেন, দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে ত্রাণের আওতায় আনা হয়েছে। অনেক দেশ তা পারেনি। বিগত ২ মাস লকডাউন থাকলেও কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কারনে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, বিত্তশালী, সমাজসেবক সবাই এগিয়ে এসেছে। এটা আমাদের সংস্কৃতি। মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে করোনা টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সেটিও চালু হবে । তিনি বলেন, চট্টগ্রামে দৈনিক অন্তত ৫ শত টেস্ট করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রিপোর্ট প্রাপ্তিতে সময়ক্ষেপণ বিষয়ক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, টেস্ট রিপোর্ট প্রাপ্তিতে সময় কমিয়ে ৪ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। এ সময় তিনি পরীক্ষার জন্য স্যাম্পল জমা দেওয়া ব্যক্তিকে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহ্বান জানান। ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, বন্দর চেয়ারম্যান, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, বিআইটিআইডি পরিচালক, সিভিল সার্জন, বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, চমেক পরিচালক, সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসককে বদলিজনিত ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব কর্মময় জীবনে জেলাবাসীর পাশাপাশি সাংবাদিকরাও অনেক সাহায্য করেছেন —–মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান জেলা প্রশাসক হিসেবে তিনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শক্তহাতে সমাধান করেছেন —-এ কে এম মকছুদ আহমেদ

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031