॥ শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন ॥ করোনা ভাইরাসের কারণে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রাঙ্গামাটি শহরে গত দুদিন ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি কমে যাওয়ায় জন সমাগম বেড়ে গেছে। রাঙ্গামাটি জেলা শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করতো। কিন্তু গত দুদিন ধরে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না থাকায় মানুষের মাঝে সচেতনতার মাত্রা কমে গেছে।
বিগত লকডাউনে প্রশাসন ও পুলিশ জনসাধারণকে বার বার অনুরোধ, মাইকিং করতে দেখা গেলেও ৬ মে রাঙ্গামাটিতে ৪ জনের করোনা পজেটিভ এর রিপোর্টের পর থেকে শহরের সকল এলাকা গুলোতে পুলিশের চেক পোষ্ট থাকলে ও গত দুদিন ধরে তা দুলে ফেলায় প্রতিটি এলাকায় জনসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী পাওয়ার সাথে সাথে রাঙ্গামাটিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলো পুলিশ প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও পয়েন্টগুলোতে জনসমাগম ঠেকাতে একাধিক চেকপোস্ট বসিয়েছিলো পুলিশ। কিন্তু এখানে করোনা রোগী পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের কোণ কঠোরতা আর চোখে পরছে না। গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও পয়েন্টগুলোতে জনসমাগম ঠেকাতে এখন আর নেয় কোণ চেকপোস্ট। অবাধে ঘোরাফেরা করছে লোকজন। এখন আর মানছে না কেউ সামাজিক দুরুত্ব।
শনিবার সকালে সরেজমিনে পুরো শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের রিজার্ভ বাজার, প্রেস ক্লাব, দোয়েল চত্বর, তবলছড়ি, বনরুপা সহ সকল এলাকায় রোডে নেয় কোন পুলিশ চেকপোস্ট পুলিশ। জরুরি কাজ ছাড়া বের হয়ে ঘুরাঘুরি করছে সাধারণ মানুষ। সড়কেও চলছে অবাধে অধিকাংশ যানবাহন।
শহরের সচেতন মহল জানান, রাঙ্গামাটিতে করোনা রোগী পাওয়ার পর থেকে হঠাৎ শহরের সকল পুলিশের চেকপোষ্ট তুলে নেওয়া হয়েছে। যার ফলে এখন অবাধে মানুষ প্রয়োজন অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে ঘুরাঘুরি করছে । এছাড়া এখন আর কেউ মানছে না সামাজিক দুরুত্ব । সময় পুলিশের চেকপোষ্ট গুলো তুলে নেওয়ায় মহামারি কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব হবে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহরে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পুলিশ সদস্যদেরকে তুলে নেয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে শহরে ৭ টি মোবাইল টিম কাজ করছে। তারা গাড়ীতে করে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় গিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি শহরতো ২০ কিলোমিটারের শহর তাই বেশী সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের সাথে ২ টি ও শহরো ৫ টি টিম কাজ করছে।