॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের পর্যটন খাতে। পর্যটন মৌসুমে প্রচুর পর্যটক আসলেও এবার উল্টো চিত্র। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর পরই কমে গেছে বান্দরবানে পর্যটকের আগমন। পর্যটকরা অগ্রীম বুকিং বাতিল করে দিয়েছে, কমে গেছে বিকিকিনি, এতে লোকসান শুনছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে অনিদিষ্টকালের জন্য বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন, এতে পর্যটক শূন্য হয়ে গেছে তিন পার্বত্য এলাকায়। এতে বেকার হয়ে গেছে পর্যটন খাতের সংশ্লিষ্টরা। পার্বত্য এলাকায় পাহাড়, ঝিরি, ঝরনা ও উপত্যকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পর্যটন মৌসুমে প্রতিবছরই ব্যাপক পর্যটকের সমাগম হয়। তবে এভাবে করোনা ভাইরাস আতংকে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এই খাতে। জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাহাড়ে প্রচুর পর্যটক সমাগম হলে এখন প্রায় পর্যটক শূন্য। বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, স্বর্ণ মন্দির, রামজাদি, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলদিগন্ত, বগালেকসহ বিভিন্ন দর্শনীয় কেন্দ্রগুলোতে এখন সুনসান নিবরতা। করোনায় বান্দরবানে পর্যটক ভ্রমণে কম আসায় লোকসান গুনছে পরিবহন শ্রমিকরা। বান্দরবানের পর্যটকবাহী যান চালক মো. আলমগীর বলেন, ‘‘করোনার কারণে পর্যটক কমে গেছে। প্রতিদিন কমপক্ষে এসময়টা ৫০ টা চান্দের গাড়ি নীলগীরিতে যেত এখন সব বন্ধ, ভাড়ায় চালিত সিএনজি যেত ২০ থেকে ২৫ টা। এখন পর্যটক নিষিদ্ধ করায় কোন আয় নেই। ’ বান্দরবানের পর্যটকবাহী যান চালক আবুল কাসেম বলেন, “প্রতিবছর ঈদ উপলক্ষে বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক আসলেও এবার করোনায় বান্দরবানে কোন পর্যটক আসেনি। বান্দরবানের আবাসিক হোটেল হিলভিউ এর জিএম সুলতান নাফিজ জানান ‘প্রতিবছর এসময়টা বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক সমাগম হলে ও এবার পর্যটক নেই। যারা সামনের ছুটিতে বেড়াতে আসার কথা তাদের আসার সম্ভাবনা কম। এই নিষেধা জ্ঞা লম্বা হলে লোকসান গুনতে হবে আমাদের সবাইকে। বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন বলেন,‘ প্রানঘাতি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে বান্দরবানের সকল বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তিনি আরো বলেন, স্থানীয়দের সুরক্ষায় এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে’।