পাট সুতায় বিশ্বচাহিদার ৯২% বাংলাদেশের দখলে

দেশে মোট ৯৮টি পাট সুতা প্রস্তুতকারী কারখানা রয়েছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ পাটপণ্য রফতানি হয়, তার মধ্যে পাট সুতার পরিমাণ ৬৮ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে পাট সুতার চাহিদা রয়েছে প্রায় ছয় লাখ টন। এর মধ্যে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় এ বিষয়ে জানানো হয়।২৯ শে মার্চ বুধবার দৈনিক বণিক বার্তায় প্রকাশিত ‘পাট সুতায় বিশ্বচাহিদার ৯২% বাংলাদেশের দখলে’ শিরোনামে এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে দুই ধরনের পাটকল রয়েছে। এগুলো হলো— বস্তা, চট ও সিবিসি প্রস্তুতকারী পাটকল এবং পাট সুতা প্রস্তুতকারী কারখানা। আমরা গর্বিত যে, দেশের অর্থনীতিতে পাট সুতা খাত বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ পাটপণ্য রফতানি হয়, তার মধ্যে পাট সুতার পরিমাণ ৬৮ শতাংশ। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী কঠিন নজরদারির মধ্যে পাট সুতা তৈরি করতে হয়, যা বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন শিল্পের আধা প্রক্রিয়াজাত কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহূত হয়। পাট সুতার বিশ্বচাহিদার ৯২ শতাংশই বাংলাদেশের দখলে থাকলেও বস্তা, চট ও সিবিসি (কার্পেট ব্যাকিং ক্লথ) পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার নানা কারণে সংকুচিত হয়ে আসছে।

তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের পাট শিল্পের রফতানি বাণিজ্য গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে কাঁচা পাটের উচ্চমূল্য, শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন বৃদ্ধি, বিদ্যুত্ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে পাটপণ্যের উত্পাদন ব্যয় বেড়েই চলেছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থা, আমদানিকারক বিভিন্ন দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব বিরাজ করায় পাটপণ্যের রফতানিমূল্য বাড়ছে না। পাশাপাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রে চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় এ শিল্পে ধস নামছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এসব কারণে এরই মধ্যে ২৫টি পাট সুতাকল বন্ধ হয়ে গেছে। দৈনিক বণিক বার্তা

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031