চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে নিহত ৪, আহত ১১: টানা বর্ষণে নগরে জলাবদ্ধতা : ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

চট্টগ্রাম ব্যুরো :: শুক্রবার (১৭ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে আকবর শাহ থানাধীন বরিশাল ঘোনা ও রাত ৩টার দিকে ফয়’স লেকের বিজয় নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- লিটন (২৪), ইমন (১৪), শাহীনুর (৩২) ও মাইনুর আখতার (২০)। পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, রাতে আকবর শাহ থানার ১ নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে আহত ৫ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। অন্যদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
দুইদিনের টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নগরে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার (১৮ জুন) নগরের নিচু এলাকা মরাদপুর, বহদ্দারহাট, ষোলশহর ২ নম্বর গেইট, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ, হালিশহর এলাকায় রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় রিকশায় অথবা পায়ে হেঁটে হাঁটুপানি মাড়িয়ে যাত্রা করতে হয়েছে কর্মস্থলে। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার এই দুর্ভোগের জন্য নগরের সেবা সংস্থাগুলো খামখেয়ালিপনাকে দুষছেন নগরবাসী। এলাকার লেকজন জানান জলাবদ্ধতা সমস্যা নতুন নয়। খাল খননে কাজ চলছে অনেকদিন ধরে। এখনও শেষ হচ্ছে না। এতে নগরবাসীর ভোগান্তি দিন দিন আরও বাড়ছে। কখন এ সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে তা কেউ জানে না। এদিকে, বর্ষার এ বৃষ্টি আরো দুই একদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশীদ জানান, মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় প্রভাবের কারণে চট্টগ্রামের কোথাও কোথাও বজ্রপাতসহ ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। ২০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারী থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। নদীবন্দরগুলোর জন্য ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের কাজ চলছে। তবে প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতি নেই।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30