ঝুঁকিপর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে শহরে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ একটানা প্রবল ভারী বর্ষণে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের ঘাগড়ায় পাহাড় ধ্বসে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুপুরে নাগাদ ঘাগড়ার চম্পাতলী এলাকায় সড়কের উপর পাহাড় ধ্বসে পড়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে কয়েক ঘন্টা বন্ধ থাকার পর স্থানীয় লোকজন রাস্তা থেকে মাটি সরিয়ে নিলে হালকা যানবাহন চলাচল শুরু হয়। রাঙ্গামাটি সড়ক জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মুছা জানান, ভারী বৃস্টির কারণে কিছু কিছু স্থানে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটলেও রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগষ্ট) সকাল থেকে ভারী বৃস্টিপাত শুরু হলে দুপুরে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটে। ঘাগড়ায় পাহাড়ের মাটি ধ্বসে রাস্তায় নেমে আসায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বৃস্টিপাত অব্যাহত থাকায় রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বস বেড়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল হুমকীর মধ্যে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকে টানা বর্ষণের ফলে ঘাগড়ার কলাবাগান এলাকায় পাহাড় থেকে আবারো মাটি ধ্বসে পড়ে। বৃষ্টির সাথে সাথে পাহাড়ের মাটি রাস্তায় এসে পড়ে। ভাগ্য ভালো এ সময় কোন গাড়ী এই এলাকায় ছিলো। গাড়ী থাকলে হয়তো বিপদ হতে পারতো। পরে এলাকার লোকজন এবং সিএনজি চালকরা নিজেদের উদ্যোগে রাস্তার মাটি সরিয়ে ছোট যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়।
সকাল থেকে টানা বর্ষণের ফলে রাঙ্গামাটি শহরের পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানকারী লোকজন নিরাপদ আশ্রয় সরে যেতে শুরু করেছে। টানা বৃস্টির কারণে মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। সাধারণ জনগন বলেন, রাতেও যদি এরকম বৃস্টি হয় তাহলে আহারো ১৩ জুনের ঘটনার পুর্নরাবৃত্তি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার জানান, আকাশের অবস্থা খুবই খারাপ। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয় মাইকিং এ।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রকাশ কান্তি চৌধুরী জানান, সকাল থেকে ভারী বর্ষণের ফলে রাঙ্গামাটির পাহাড় গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকাল সাড়ে ৪ টায় থেকে রাঙ্গামাটি শহরে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে ভারী বর্ষণের কারণে রাঙ্গামাটিতে বড় ধরনের পাহাড় ধ্বসের আশংকা মানুষ আতংকে রয়েছে। সাধারণ মানুষ বলেন, গত ২ মাস আগে ১১ বৃষ্টিপাত শুরু হয়, ১২ জুন সারাদিনও বৃষ্টি পরে তার পর ১২ জুন ভোর রাত থেকে পাহাড় ধ্বস শুরু হয় এই পাহাড় ধ্বসের কারণে ১২০ জন মানুষ প্রাণ হারায়। প্রায় ৬ শতাধিক পরিবার তাদের বসতবাড়ী হারিয়ে বর্তমানে রাঙ্গামাটির ৪ টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।

॥রাঙ্গামাটিতে দৈনিক গিরিদপর্ণ সম্পাদক মরহুম এ কে এম মকছুদ আহমেদের স্মরণসভা ও ইফতার মাহফিল পার্বত্য চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ প্রয়াত একেএম মকছুদ আহমেদকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভুষিত করার দাবি

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31