মুহিতের সমালোচনায় হাসিনা


শনিবার রাজধানীর ‍কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নয়, সরকারের পদক্ষেপের ফলেই দারিদ্র্য বিমোচন হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করেছিলেন মুহিত।

তিনি বলেছিলেন, “একসময় এদেশে ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। সেখান থেকে এখন ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। গ্রামীণ ব্যাংক এ ভূমিকাটি সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছে।”

তার বক্তব্যের সূত্র ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা দেখলাম মাননীয় অর্থমন্ত্রী ক্ষুদ্র ঋণের প্রশংসা করলেন। যারা ক্ষুদ্র ঋণ দেয়, তারা ধনশালী হয়। তারা ব্যবসা করে।

“তারা চায় না, মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক। মানুষ দারিদ্র্য থেকে উঠে আসলে তারা ব্যবসা কী নিয়ে করবে।”

দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশে নেমে আসার দিকে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কার আমলে দারিদ্র্য ২২ শতাংশে নেমে এসেছে? আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই তা হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচনে আমরা সফল হয়েছি। আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে এসেছি।”

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করা নিয়েও মুহিতের সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, “মাননীয় অর্থমন্ত্রী এমন একজনের কথা বললেন, যার কারণে আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ পিছিয়ে গেছে।”

এই অনুষ্ঠানেই ক্ষুদ্র ঋণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকার প্রশংসা করেন অর্থমন্ত্রী

তিন দশক আগে এরশাদ আমলে মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকার সময় ইউনূসের উদ্যোগে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়, যার অংশীদার হয় সরকারও।

বয়সসীমা অতিক্রম করায় কয়েক বছর আগে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে ইউনূসকে সরিয়ে দেওয়ার পর এই ব্যাংকটি নিয়ে তার সঙ্গে সরকারের টানাপড়েন চলছে।

ইউনূসকে ‘সুদখোর’ বলেও বিভিন্ন সময় আখ্যায়িত করেন শেখ হাসিনা।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031