
আগামী ৩১ মার্চের পূর্বে বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ। ৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে বেলা ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রতীকি অনশনে অংশগ্রহণ করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারিদের চাকরি জাতীয়করণের আন্দোলনকে সফল করার লক্ষে আয়োজিত সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মোঃ নাজেমুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতীকি অনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চট্টগ্রম শাখার সচিব এম.এ.ছফা চৌধুরী, বামাশিস চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা নুরুল কবির, বাকশিস চট্টগ্রাম জেলা সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ওসমান গনি, বাশিস চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সচিব কমল কান্তি ভৌমিক, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ মোস্তফা, দক্ষিণ জেলা শাখার সচিব মোঃ আবদুল হান্নান, সাখাওয়াত হোসাইন তালুকদার, অধ্যাপক আলী রেজা। বক্তারা বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় স্থানীয় সাংসদ, পেশাজীবি ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় এর মাধ্যমে আমাদের দাবির স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছি। দেশের সকল জেলা সদরের ন্যায় চট্টগ্রামেও বিক্ষোভ মিছিলসহ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় প্রধামন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ করেছি, বিগত ৩ মার্চ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনরূপ ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। দেশের সকল সরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারিরা ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে ৮ম পে-স্কেলে ৫% ইনক্রিমেন্ট পেলেও সমযোগ্যতা, সমঅভিজ্ঞতা ও সমপদে নিয়োজিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ লক্ষাধিক এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারি আজ পর্যন্ত ৫% ইনক্রিমেন্ট না পেয়ে হতাশ। ৮ম পে-স্কেল অনুযায়ী সরকারী স্কুল কলেজের শিক্ষকদের অনুরূপ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, চিকিৎসাভাতা, বাড়ীভাড়া, পূর্ণাঙ্গ উৎসবভাতা এবং বৈশাখীভাতা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষকদের আর্থিক সচ্ছলতা প্রদান ও সামাজিক মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়ে শিক্ষক নেতৃবন্দের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক শামসুল কবির শামীম, সরচিতা পালিত, আবেদা সুলতানা, বদিউল আলম, রেজাউল করিম, মিসেস রোগন আরা বেগম, মোঃ জালাল উদ্দিন, আবদুল মাবুদ, জাহাঙ্গীর আলম, এম.এ. মোমিন হাজারী, খোরশেদ আলম, মুহম্মদ মুজিবুর রহমান, মোঃ আক্কাস উদ্দিন প্রমুখ। প্রতীকি অনশন কর্মসূচিতে বক্তারা চাকরি জাতীযকরণের আন্দোলনকে বেগবান করে দাবি আদায়ের কর্মসীচকে সফল করার লক্ষ্যে আগামী ১৯ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য সকল স্তরের শিক্ষক কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।