রাঙ্গামাটিতে দেড়’শ একর ফলজ ও ওষধি বাগান আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে বন বিভাগ,৩ কোটি টাকার ক্ষতি দাবি

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে ব্যক্তি মালিকাধীন প্রায় দেড়’শ একর ফলজ ও ওষধি বাগান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগের লোকজন। এতে প্রায় ৩কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকরা। বাগান মালিকদের দাবী করোনাকালিন সময়ে লোকজন যখন ঘরবন্ধী তখন বনবিভাগের কিছু লোকজন আগুন দিয়ে বাগানগুলো পুড়িয়ে দেয়। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকরা কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে ৩কোটি টাকা ক্ষতিপুরন দাবী করে উকিল নোটিশ দিয়েছে।
জানা যায়, রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলাধীন ৩২০কাকড়াছড়ি মৌজা বাঙ্গাল হালিয়া নামক এলাকায় অত্র মৌজার খতিয়ান নং-১, দাগ নং-যথাক্রমে-৮,৯,১৬৩৩ ও ২০৮৮ প্রায় দেড়শত একর জমি রয়েছে। উক্ত জমিতে বাগান করার জন্য জমির সকলে মিলে রাঙ্গামাটি এগ্রোসমিতি লিমিটেড নামে একটি সমিতি গঠন করে। সকলে মিলে প্রায় দেড়শত একর জমিতে বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও ওষধি গাছের বাগান করে। তার মধ্যে ৬০ একরের অধিক জমিতে সরকারী ভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বাগান সৃজন করে দেয়া হয়। অবশিষ্ট প্রায় একশত একর জমিতে সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে বনায়ন করা হয়েছে। যা একটি সুন্দর সুবিশাল বাগানে পরিনত হয়। এই সুন্দর সুবিশাল বনায়নে আগুন লাগিয়ে দিয়ে সব বাগান ধব্বস করে দিয়েছে কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগের লোকজন বলে দাবী করেছে ক্ষতিগ্রস্থ বাগান মালিকরা।
এগ্রোলি মিটেডের সদস্য ফরিদ উদ্দিন ও জাকির হোসেন বলেন, আমরা সমিতির সদস্য দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর ধরে জায়গার দখলে আছি। আমাদের বনায়নে বনজ, ফলজ ও ওষধি গাছ লাগিয়েছি। তা পরিচর্যা করে বড় করেছি। দেশে যখন করোনা মহামারি চলছে ঠিক সে সময়ে কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগ কর্তৃক আগুন লাগিয়ে আমাদের বনায়ন ধ্বংস করে দেয়। এতে আমাদের প্রায় ৩ কোটি টাকার মত ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তারা বলেন, এব্যাপারে চন্দ্র ঘোনা থানায় বন বিভাগের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে বাগান ধ্বংসের আলামত পেয়েছে। তারা আরো বলেন, জায়গাটি খাস ছিল আমরা ৩২জনে জেলা প্রশাসনের বরাবরে বন্দোবস্তির জন্য আবেদন করেছি। সেটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে রাঙ্গামাটি এগ্রোসমিতি লিমিটেডের সদস্য এ এইচ এম নাজমুল হক বাদী হয়ে কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে এ্যাডভোকেট এএসএম সাইফুল ইসলাম পনির।
এ ব্যাপারে কাপ্তাই পাল্পউড বন বিভাগীয় কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও বাঙ্গাল হালিয়া বনবিট কাম ষ্টেশন কর্মকতা রেজাউল আলম এব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, করোনার কারনে লকডাউন চলছে, তাই এই ব্যাপারে কথা বলতে পারবেন না।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31