বান্দরবানে করোনা নির্মূলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ছুটছে মানুষ!

॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ করোনা ভাইরাসে নাকাল গোটা বিশ্ব। সারা বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জ্যামিতিক হারে দেশব্যাপী বাড়ছে করোনা আক্রান্তের হার, আর এই করোনা সংক্রামন থেকে বাদ যাচ্ছেনা বান্দরবানের মানুষ। একের পর এক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এবার সেই করোনা নির্মূলে ব্যবহার হচ্ছে হোমিওপ্যাথিক।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি থেকে রক্ষা পেতে টিকা ও কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে বিশ্বজুঁড়ে। এর মধ্যে প্রাচীন হোমিও পদ্ধতি করোনার চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখছে বলে আলোচিত হচ্ছে, আর এমন বিশ্বাস নিয়ে হোমিও প্যাথিকের দোকানে ছুটছে সাধারণ মানুষ।
বান্দরবান শহরের বাসিন্দা তাপস চন্দ্র দাশ বলেন, করোনা নির্মূলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আমি গোপনে সংগ্রহ করেছি, কারন অনেকে এটা বিশ্বাস করেনা, তবে সেবন করলে পার্শ্বপতিক্রিয়া তো নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোমিও ওষুধে সুফল মিলছে করোনার চিকিৎসায়, তাই বান্দরবানে করোনা নির্মূলে হোমিওপ্যাথিক দোকান থেকে অনেকটা গোপনে ওষুধ কিনছে মানুষ।
আরো জানা গেছে, হোমিওপ্যাথিক ওষুধে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটরের রোগীরা ৫ থেকে ৭ দিনে সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আইসিও এবং ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের উপর ভারতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উঠে এসেছে এই চমকপ্রদ তথ্য। হোমিও ওষুধ ব্যবহারের কয়েক দিনের মধ্যে অনেক করোনা পজেটিভ রোগীর নেগেটিভ আসে বলে জানা যায়। করোনা নির্মূলে ভারতে জেলসেমিয়াম, ক্রোটালুস এইচ, আর্সেনিক আলবা, পিয়মুন হিস্টামিন, আর্সেনিক আয়োট, ব্রায়োনিয়া অ্যালবা, অ্যান্টিম টার্ট নামক হোমিওপ্যাথিক এই ওষুধগুলো ব্যবহার হচ্ছে। এই ওষুধ গুলো কমন ওষুধ হিসাবে দেশের যেকোন ওষুধের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে।
বান্দররবান সদরে বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন করোনা রোগীর মূল চিকিৎসা চলছে এলোপ্যাথিক চিকিৎসায়, তবে এর বাইরে তিনি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন হোমিও চিকিৎসায়।
বান্দরবান শহরের রাজারমাঠের পাশে অবস্থিত হ্যানিমেন হোমিও ফার্মেসীর চিকিৎসক ডাঃ আয়ন চৌধুরী বলেন, করোনা নির্মূলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধে সুফল পাবেন। করোনার যেসব লক্ষণ অর্থাৎ জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি এসবের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিক অনেক আগে থেকেই বেশ জনপ্রিয়। তিনি আরো বলেন, এখন করোনায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রেও এসব উপসর্গের যেটি বেশি সেটিকে ধরে আমরা ওষুধ দিচ্ছি, তাতে অনেকে উপকার পাচ্ছে। আর যারা আক্রান্ত হননি, তাদের জন্য প্রতিরোধমূলক পথ্য দেয়া হচ্ছে, যা তিন দিন ধরে খেতে হবে, যার মূল্য ১৬০ টাকা।
এদিকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খরচ খুবই কম হওয়ায় রোগীরা সহজেই তা নিতে পারছেন। তবে অনেকের অভিযোগ, অনেকটা গোপনে রাম হোমিও, হ্যানিমেন হোমিও ফার্মেসীসহ বিভিন্ন দোকানে এই ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।
করোনা নির্মূলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ব্যাপারে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডাক্তার প্রত্যুষ পল ত্রিপুরা বলেন, ন্যাশনাল গাইড লাইনে এ ব্যাপার নিয়ে কিছুই লেখা নেই, হোমিও প্যাথিক করোনা নির্মূলে কোন ভূমিকা রাখে কিনা আমার জানা নেই।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30