চসিক প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পোর্টকানেকটিং রোডে হযরত মনির উল্লাহ শাহ ও হযরত মুনছুর আলী শাহ (র.) মাজার শরীফের অতিরিক্ত অংশ সরিয়ে নেয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: পোর্ট কানেকটিং সড়কের চলমান উন্নয়ন কাজ দীর্ঘসূত্রিতা হওয়ায় চসিকের প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই সড়কটি উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করার জন্য সচেষ্ট হন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। সড়কটির পাশে অবস্থিত হযরত মনির উল্লাহ শাহ ও হযরত মুনছুর আলী শাহ (র.) মাজার শরীফ এর পরিচালনা কমিটি চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে নিজ দায়িত্বে মাজার দু’টির অতিরিক্ত অংশ সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেন। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন মাজার স্থানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, যারা সড়কের দু’পাশের ড্রেন এবং ফুটপাত দখল করে মালামাল রেখেছেন তারা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরিয়ে না নিলে জরিমানা সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি মাজার পরিচালনা কমিটিকে জনস্বার্থে এই বোধগম্যতা ও সদিচ্ছার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। উল্লেখ্য মাজারের মূল রওজা শরীফ রেখে যে অংশ সড়কটিতে পরেছে তা নিজের উদ্যোগে অপসারণ করায় রাস্তাটি প্রসস্থকরণে কোন বাধা রইল না। গত ১১ আগস্ট সাগরিকা মোড় হতে নয়া বাজার পর্যন্ত সমস্ত অবৈধ স্থাপনা,ফুটপাতের উপর বসানো দোকানপাট ও স্তুপকৃত মালামাল আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। ঐ সময়ে তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, রাস্তার দুইপাশে অবস্থিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান যারা অবৈধভাবে চসিকের ড্রেইন ও ফুটপাত দখল করে জনচলাচলে বিঘœ ঘটাচ্ছে তাদেরকে আজকে আমি আপনাদের একজন হয়ে বলে গেলাম, আপনারা আপনাদের নিজ দায়িত্বে এসব অপসারণ করেন নচেৎ আগামী ১২ আগস্ট বিকেল থেকে আমাকে দেখবেন প্রশাসকের ভূমিকায়। এসব অবৈধ স্থাপনা না সরালে আগামী ২৪ ঘন্টা পর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও জরিমানা গুনতে হবে। এসময় ব্যবসায়ীরা নিজ দায়িত্বে সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রশাসককে। বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে কেউ কেউ অবৈধ স্থাপনা সরালেও অনেক স্থাপনা এখনো সরানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে চসিক তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রামের এই পোর্টকানেকটিং রোডটি সারা বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়কটি সংস্কারে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মানুষের যে ভোগান্তি হয়েছে এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রানের জন্য সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার এবং প্রকৌশলীদের দ্রুতগতিতে কাজ করার নির্দেশনা দেন চসিক প্রশাসক। তারই ফলশ্রুতিতে কাজের গতি বৃদ্ধি পায় এবং আগামী নভে¤॥^র মাসের মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়বসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30