পাহাড়ের সংশপ্তক চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫০ বছর

॥ নন্দন দেবনাথ ॥
পাহাড়ের সংশপ্তক, সংবাদপত্রের জনক, চারণ সাংবাদিক এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে। ৭৫ এ পা রাখা এই চির এই তরুন সংশপ্তকের দীর্ঘ পথ চলায় পাহাড়ের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে প্রতিটি পদে পদে বাধা গ্রস্থ হয়েছে। পাহাড়ের আনাচ কানাচে এমন কোন জায়গা নেই তার পদ চিহ্ন পড়েনি। রাঙ্গামাটির দুর্গম সাজেকের লালু কালু থেকে শুরু করে, খাগড়াছড়ির দুর্ঘমতাকে জয় করে বান্দরবানের রুমা সহ দুর্গম উপজেলা গুলোর সংবাদ সংগ্রহ করেছে পায়ে হেঁটে হেঁটে দুর্গম এই জায়গা পৌছে ২ থেকে ৩ দিন ও ৫ দিনে। বর্তমানে যে জায়গা গুলোতে আমাদের যেতে সময় লাগে মাত্র ৩ থেকে ৫ ঘন্টা। আর সেই দীর্ঘ ৫০ বছর আগে কেউ কল্পনা করতে পারেনি এই জায়গা গুলো থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে দেশবাসীর কাছে পৌছে দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করতে।
পাহাড়ের এই সংশপ্তক স্বাধীনতার আগে ১৯৬৯ সালের নভেম্বর মাসেই তিনি দৈনিক আজাদী পত্রিকার মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে, অনেকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, শতশত মৃত্যুর হুমকীকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে গেছেন পাহাড়ের মানুষের অভাব অভিযোগ তুলে ধরতে। পায়ে হেটে হেটে এই পাহাড় থেকে ঐ পাহাড়ে ছুটে ছুটে পাহাড়ের মানুষের কথা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। এই মহান সাংবাদিকের পেশাকে তিনি নিজের করে নিয়ে একে একে প্রকাশ করেছেন সাপ্তাহিক বনভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলের সর্বপ্রথমক দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ।
তার এই পত্রিকার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কল্যানে যেমন কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন ঠিক তেমনি পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নেও এই গিরিদর্পণের ভূমিকা কম ছিলো না। পার্বত্য অঞ্চলের যখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো পার্বত্য অঞ্চলের মুখপাত্র ছিলো দৈনিক গিরিদর্পণ। এই গিরিদর্পণের মাধ্যমেই পাহাড়ের সকল সংবাদ পাহাড়ের মানুষ যেমন পেয়েছে তেমনি পত্রিকার কপি নিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের দৈনন্দিন কাজ চালিয়েছে এবং এই পত্রিকার কপি প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঠিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নের পথকে সুদৃঢ় করেছে। তাই অনেকের মুখেই বলতে শুনি পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তি বাস্তবায়নে দৈনিক গিরিদর্পণের ভূমিকা অপরিসীম। অতীত এবং বর্তমানে অনেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল নিয়ে পিএইচডির কাজেও দৈনিক গিরিদর্পণনের সহায়তা নিয়েছে।
পাহাড়ের যে কোন সংবাদ কিছু উদীয়মান সংবাদকর্মী ও দৈনিক গিরিদর্পনের ডেস্ক বসা কিছু অভিজ্ঞা লোকের সম্পাদনায় দৈনিক গিরিদর্পণ প্রকাশিত হতো। আমার সাংবাদিকতা শুরুরও ৩০ বছর আগে থেকে পাহাড়ের এই সংশপ্তক সাংবাদিকতা করেছেন। আমি যখন ১৯৯৯ সালে দৈনিক গিরিদর্পণে কাজে যোগদান করি। তার ১ বছর পর তিন বিদেশী অপহরণ ঘটনার দেখেছি। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ বিদেশের সাংবাদিকরা ছুটে আসতো এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের কাছে। সংবাদ প্রেরণ সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এসে তা সমাধানের জন্য বিভিন্ন মহলে কথা বলা সহ বিভিন্ন অবস্থানে দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয় ও এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ছিলো সবার উপরে। পত্রিকার সাংবাদিকরা সারাদিন সংবাদ সংগ্রহ করে এসে দৈনিক গিরিদর্পন কার্যালয়ে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে ঘিরে বসে থাকতো। সংবাদ নিয়ে পর্যালোচনা ছিলো, সংবাদ পাঠানো সহ বিভিন্ন কার্যক্রম ছিলো গিরিদর্পণ কার্যালয়ে। তখন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ছিলো সাগর সরোয়ার যিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তখন থেকে দেখা আজো দেখসি পাহাড়ের চুড়ার মতো এই বয়সে প্রবীন, মনের দিকে তরুন ৭৫ এ পা দেয়া এই মানুষটিকে আমার সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এক সাথে বসে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তার কাছ থেকে অনেক অনেক কিছু শিখতে পেরেছি আমি। তাই আজ এই মানুষটির কাছে শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞা এবং ভালোবাসায় মাতা নত হয়ে যায়। তাই স্যালুট পাহাড়ে এই সংশপ্তককে। শত বছর বেঁচে থাকুক পাহাড়ের এই সংশপ্তক।
সংবাদপত্র জগতে তিনি পার্বত্য তিন জেলা, চট্টগ্রাম, সহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য বেকার যুবককে দৈনিক গিরিদর্পন ও সাপ্তাহিক বনভ’মির মাধ্যমে সাংবাদিক বানিয়েছেন। অনেকে জন আজ স্বীকার করলেও অনেকে আজ বড় বড় পত্রিকার মালিক হয়ে এ,কে,এম মকছুদ আহমেদকে চিনেন না এবং পত্রিকার মালিক হয়ে এই চারণ সাংবাদিকের সাথে প্রতিযোগিতা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ তার সাংবাদিকতা জীবনে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অভাব অভিযোগ গুলো যেমন তুলে ধরেছেন তেমনি অসংখ্য অসহায় মানুষের তিনি সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসংখ্য শিক্ষার্থীকে তিনি বই সহ বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া চাকুরী দিয়েছেন বেশ কিছু শিক্ষিত বেকার যুবককে।
তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গাামাটি, কাউখালীর কলমপতি, লংগদু, রামগড় এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, ও রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, কুমিল্লার অন্তত পক্ষে দেড় হাজারেরও অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানে সহযোগিতা করে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছেন এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে চাকুরীরত আছেন এবং অনেকেই অবসর গ্রহণ করে সুন্দর জীবন যাপন করছেন।
তার সাংবাদিকতার দীর্ঘ ৫০ বছর পূর্তির এই দিনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরাম সহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
এ,কে,এম মকছুদ আহমেদের পিতার নাম মৃতঃ জামাল উল্লাহ, মাতার নাম জমিলা খাতুন। তিনি ১৯৪৫ সালের ১০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলায় উত্তর মগাদিয়া পোষ্ট- মলিয়াইশ জন্ম গ্রহণ করেন।
বর্তমান ঠিকানা ঃ- দৈনিক গিরিদর্পণ, রাঙ্গামাটি প্রকাশনী, রিজার্ভ বাজার, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। । বাসাঃ- গুর্খা কটেজ, জেল রোড, রাঙ্গামাটি। ০৩৫১-৬১৬৩৩। মোবাইল-০১৮২০৩৩২১২০/০১৫৫০৬০৯৩৪২।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃ- ম্যাট্রিক- ১৯৬২ (আবু তোরাব হাই স্কুল), (মলিয়াইশ জুনিয়ার হাই স্কুল, মিঠানালা হাইস্কুল, দুর্গাপুর হাই স্কুল) আই, এ শিক্ষক প্রাইভেট ১৯৬৮ ইং (রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ), পিআইবিতে সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক সহ অসংখ্যবার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসার পর তৎকালীন জেলা স্কুল পরিদর্শক আলী আহমেদ দ্বারা ১৯৬৬ সনের নভেম্বরে কাউখালী উপজেলার কলমপতির বেতছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করেন। পরে ১৯৬৮ সনে লংগদু থানার সোনাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এবং ১৯৬৯ সনের নভেম্বর পর্যন্ত বরকল থানার গোরস্থান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তৎকালীন সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।
ঐ সময় তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম রাঙ্গাামাটি, কাউখালীর কলমপতি, লংগদু, রামগড় এবং চট্টগ্রামের মীরসরাই, ও রাঙ্গুনিয়া, ফেনী, কুমিল্লার অন্তত পক্ষে দেড় হাজারেরও অধীক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে নিয়োগ প্রদানে সহযোগিতা করে তাদের পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেছেন এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে চাকুরীরত আছেন এবং অনেকেই অবসর গ্রহণ করে সুন্দর জীবন যাপন করছেন।
সর্বশেষ কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা- পদবী ঃ-
সম্পাদক প্রকাশকঃ- বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি (১৯৭৮ ইং) দৈনিক গিরিদর্পণ (১৯৮৩ ইং) বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলার সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক সংবাদপত্র যার বয়স বর্তামনে ৩৩ বছর পূর্ণ করে ৩৪ শে পা রেখেছে।
১৯৬৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামস্থ দৈনিক আজাদীর রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি হিসাবে সাংবাদিকতা জীবনের শুরু হয়। ১৯৭৩ দৈনিক জনপদ জেলা সংবাদদাতা, ১৯৭৪ দৈনিক পূর্বদেশ, বার্তা সংস্থা এনাতে, ১৯৭৪-৭৭ এবং ১৯৭৯-৮৬ বাসসে কর্মরত ছিলাম, ১৯৭৬ সন থেকে ২০০৮ সালের ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ইত্তেফাক (১৯৭৮ ইং থেকে) বর্তমানে জেলা প্রতিনিধি ইত্তেফাক। ১৯৮৬-৮৯ পর্যন্ত ইত্তেফাক সংবাদদাতার পাশাপাশি নিউ নেশন এর জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায়, সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ থেকে জানুয়ারী ২০০১ পর্যন্ত দি ডেইলী ইন্ডিপেনডেন্ট এর রাঙ্গামাটি জেলা সংবাদদাতা এবং ১৯৮৩-১৯৯৮ ইং পর্যন্ত বিবিসির জন্য কাজ করেছিলেন। চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশ্বের নিকট পরিচিত করে তুলতে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
জেলা সংবাদদাতা- জেলা সংবাদদাতা বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম ১৯৯৫ সাল হতে ও রাঙ্গামাটি কেন্দ্রে ২০০৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি বার্তা বিভাগের জেলা সংবাদদাতা হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিঃ এর ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত এবং জুন ২০০৫ থেকে নিউ নেশানের ২০০৮ পর্যন্ত জেলা সংবাদদাতা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
প্রকাশক ঃ- চাক্মা-মারমা কথোপকথন (জুভাপদ) (১৯৭৭), নোয়ারাম চাক্মা প্রণীত গোজেন লামা (১৯৭৭), পরিবার পরিকল্পনা প্রাথমিক গান (১৯৭৭) অধীর কান্তি বড়–য়া প্রণীত প্রাথমিক বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষা, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (শ্রেণীর পাঠ্য) হাবিবুর রহমান মজুমদারের রাঙ্গামাটির ভাবনা (কবিতার বই), নন্দলাল শর্মার পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা। সৈয়দ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদের শিক্ষা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ, করমালী। এডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পুর পার্বত্য আইন তত্ত্বেও প্রয়োগে। ত্রিপুরা ভাষার বর্ণমালা- মহেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (২০০২), আকাশে হেলান দিয়ে- নন্দলাল শর্মা (২০০৩)। পরিবেশক জেলা প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত রাঙ্গামাটি বৈচিত্রের ঐকতান (২০০৫)। স্বত্বাধিকারী রাঙ্গামাটি প্রকাশনী।
সম্মাননা ও পদক ঃ- মুক্তিযুদ্ধের বিজয় রজত জয়ন্তী, রাঙ্গামাটি রোটার‌্যাক্ট ক্লাব ও চট্টগ্রাম ডাউন টাউন (১৯৯৫), পরিবার পরিকল্পনা প্রচার সপ্তাহ এফপিএবি (১৯৯৫), সুধীজন ও গুনীজন সংবর্ধনা খেলাঘর আসর (১৯৯৬), ফুলকঁড়ির আসর ১৯৯৯, শিল্পী নিকুঞ্জ- সাংবাদিকতায় অবদান- ২০০১, ১৯৯০ সনে “আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনষ্টিটিউট এর পৃথিবীর পাঁচ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব নামক” বইতে জীবন বৃত্তান্ত স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ প্রেস ইনষ্টিটিউট এর সাংবাদিক অভিধানে জীবন বৃত্তান্ত যোগ করা হয়েছে।
চারণ সাংবাদিক হিসেবে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মরহুম আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার স্মৃতি পদক ২০০৩ লাভ, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব সংবর্ধনা ও সম্মাননাা প্রদান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙ্গামাটি জেলা কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি রাঙ্গামাটি পার্বত্য শাখা কর্তৃক সম্মাননা, শিল্পী নিকুঞ্জ কর্তৃক বিশেষ সম্মাননা ২০০৪ এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমীর সম্মাননা ২০০৪, ২০০৩-২০০৪ ইং বর্ষে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩২৮০ কর্তৃক রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটির প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুরস্কার লাভ। বান্দরবান প্রেসক্লাব কর্তৃক সম্মাননা প্রদান, ২০০৪, কাপ্তাই রাঙ্গুনিয়া সাংবাদিক ফোরাম কর্তৃক স্বর্ণ পদক, ২০০৪, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে ২০০৪ সনে সম্মাননা লাভ। পত্রিকায় সেনিটেশন বিষয়ে কভারেজ দেওয়ার প্রেক্ষিতে সম্মাননা প্রদান, ২০০৫, রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য সম্মাননা প্রদান, ১২ মে ২০০৫, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতি বাংলাদেশ কর্তৃক চট্টগ্রামে আব্দুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার মৃত্যু বার্ষিকীতে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংবাদপত্রের বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫, পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য ফুটন্ত ফুলের আসরের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান, ২৪ অক্টোবর ২০০৫, ৬০ বৎসর পূর্তিতে রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একডেমীর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য অবদানের জন্য বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিশ্ব প্রেস কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান, ১০ ডিসেম্বর ২০০৫, ২৮ জানুয়ারী’ ০৬ ইং মীরসরাই সমিতি চট্টগ্রাম কর্তৃক সম্মাননা প্রদান। ২০ নভেম্বর ২০০৯ ফরিদপুরের নির্ণয় শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য স্বর্ণপদক ও সম্মাননা প্রদান। ২০১০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ কর্তৃক মাদার তেরেসা শান্তি পদক লাভ। ২০১২ সালে দৈনিক আজাদীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটির অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে ভারতের উত্তরবঙ্গ নাট্য জগত পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দুই বাংলার সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য পদক। ২০১৪ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রাঙ্গামাটি জেলা সম্মেলনে মানবাধিকার ও সাংবাদিকতার জন্য বিশেষ সম্মানান পুরস্কারে ভূর্ষিত করা হয়। সম্মাননা-২০১৪ সালে পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫০ তম বর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে বিশেস অবদানের জন্য পদকে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাকিতায় অবদানের জন্য গুনীজন সম্মাননা প্রদান। গত ২০ মে ২০১৬ সালে দৈনিক রাঙ্গামাটির পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান। ৫ই এপ্রিল ২০১৯ মিরসরাইয়ে খবরিকা পত্রিকার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কবি সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান। ৬ এপ্রিল ২০১৯ সালে হাজী আব্দুল বারী মাতব্বর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কর্তৃক ক্রীড়া উন্নয়নে অবদানের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
১৬ই এপ্রিল প্রয়াস এর উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ অলিম্পিয়ার্ডের গুনিজন সংবর্ধনায় পাহাড়ের প্রথম সাংবাদিকতা ও জনস্বার্থে অবদান রাখায় সম্মাননা প্রদান। ১৬ এপ্রিল বাংলা নববর্স উদ্্যাপন পরিষদ ১৪২৬ মাঝেরবস্তি তবলছড়ি রাঙ্গামাটি কর্তৃক আলোকিত রাঙ্গামাটি কর্তৃক সম্মমানা প্রদান। ১৯ এপ্রিল ২০১৯ রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মানবাধিখার সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মকান্ডে বিশেষ অবদানের জন্য দুটি সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। ৩ মে ২০১৯ রাঙ্গামাটিতে চ্যানেল আই এর অফিস উদ্বোধন ও অনলাইন পাহাড়ের আলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতার গুরুত্বপুর্ণ অবদানের জন্য বিশেস সম্মাননা প্রদান।
২৩ জুন ২০১৯ ওয়াল্ড পীস এন্ড হিউম্যান রাইটস্্ সোসাইটি রাঙ্গামাটি এর উদ্যোগে গুনীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় সম্মানা প্রদান করা হয়। ২২ নভেম্বর ২০১৯ বান্দরবান প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠানে পার্বত্য অঞ্চলের সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে ডিজিটাল ডাকঘরের উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সম্মাননা প্রদান। ৩০ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির অনলাইন সিএইচটি নিউজের ৬ষ্ঠ বর্ষ পূর্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংবাদিকতায় বিশেষ ভ’মিকা রাখায় সম্মাননা প্রদান। ১ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধী স্কুল ও পুর্ণর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে বই বিতরণ ও গুনীজন সংবর্ধনায় সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে সম্মননা প্রদান করা হয়। ৬ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৩ যুগ পুর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা প্রদান। ২৪ জানুয়ারী ২০২০ রাঙ্গামাটি চারুকলা একাডেমীতে সিএইচটি মিডিয়া ২৪ ডট কম এর ৬ষ্ঠ বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে গুনীজন সম্মানা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকতায় ৫০ বছর পূর্তিতে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ১ ফেব্রুয়ারী ২০২০ ইং তারিখে চট্টগ্রামের দৈনিক সাঙ্গুর ১৮ বছরে পদার্পন উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলে সাংবাদিকতার বিশেষ অবদানের জন্য সাঙ্গু এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে।
আজীবন সদস্য ঃ- বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, (এফপিএবি) এবং দুইবার সহ-সভাপতি এবং একবার সভাপতি এফপিএবি, পার্বত্য জেলা শাখা। সমাজ কল্যাণ বিভাগের অপরাধ দমন কমিটি, দাতা সদস্য ঃ- রাঙ্গামাটি সাধারণ পাঠাগার, শহীদ আব্দুল আলী একাডেমী। আজীবন সদস্য ও রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সদস্য, রাঙ্গামাটি ডায়াবেটিক হাসপাতাল। সহ-সভাপতি নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি, সহ-সভাপতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাঙ্গামাটি জেলা শাখা, কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটি, সহ-সভাপতি জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ কমিটি (নাটাব), রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সভাপতি রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব (২৫ বৎসর), সভাপতি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল সংবাদপত্র পরিষদ। সভাপতি-রিজার্ভ বাজার ক্রীড়া একাডেমী, সদস্য বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ। প্রতিষ্ঠাতা ভাইস প্রেসিডেন্ট রোটারী ক্লাব অব রাঙ্গামাটি এবং প্রেসিডেন্ট ২০০৩-০৪, ২০০৭-২০০৮, সর্বোচ্চ পরিষদ সদস্য- জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় সদস্য বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। অপরাধী সংশোধনী ও পুনর্বাসন সমিতি রাঙ্গামাটির সদস্য। ৫ বৎসরের জন্য রাঙ্গামাটি জেলা রোভার স্কাউটস্ কমিশনার, সহ-সভাপতি রাঙ্গামাটি জেলা রোভার স্কাউটস। বেসরকারী কারা পরিদর্শক সদস্য। সভাপতি পরিবেশ ও মানবাধিকার উন্নয়ন সোসাইটি, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্বরত আছে।
সাবেক সভাপতি ঃ- রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হিসাবে ২৪ বছর দায়িত্ব পালন, বাংলাদেশ গ্রামীন সংবাদপত্র পরিষদ ও জাতীয় সংবাদপত্র পরিষদ, সদস্য ইন্টারন্যাশনাল বায়োগ্রাফিক্যাল ইনিষ্টিটিউট। সদস্য এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল, সাবেক সদস্য ইন্টারন্যাশনাল আর্গানাইজেশন অব জার্নালিষ্ট (আই ও জে), এ্যামিক-সিঙ্গাপুর, রিপোটার্স সান্সফ্রন্টিয়ার্স-ফ্রান্স।
প্রধান উপদেষ্টা- রাঙ্গামাটি বেবী টেক্সী চালক কল্যান সমিতি, উপদেষ্ঠা-আবাহনী ক্রীড়া চক্র- রাঙ্গামাটি, রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি ও বেবী টেক্সী মালিক সমিতি, মানব কল্যান পরিষদ, পার্বত্য কাঠ ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি ও উপদেষ্ঠা, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন, ঢাকা, রাঙ্গামাটি ডায়বেটিক সমিতি, উপদেষ্ঠা, শাপলা নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, রাঙ্গামাটি, উপদেষ্ঠা রাখাইন ত্রিপুরা (আরটি) প্রকাশনা সংস্থা মহালছড়ি, উপদেষ্ঠা মাইজভারী গাউসিয়া হক রাঙ্গামাটি বাংলাদেশ কমিটির উপদেষ্ঠা।
১৯৭৭ সন থেকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি ছাড়াও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জাতীয় শান্তি ও সমন্বয় পরিষদ এর সহ সভাপতি হিসেবে এবং এছাড়া এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশেনালের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় বিভিন্ন মানবাধিকার কাজের সঙ্গে জড়িত থেকে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখা হয়েছে।
মানবাধিকারের বিষয় ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার পরিবেশ ও বন রক্ষা, বন্য হাতির আবাসস্থল নিরাপদ রাখতে এবং কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিং ও দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রেখেছেন।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031