গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু উদ্বোধন : ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়াবে মৈত্রী সেতু—প্রধানমন্ত্রী

॥ গিরিদর্পণ ডেস্ক ॥ ফেনী নদীতে নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শুধু বন্ধুত্বের বন্ধন নয় বরং দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বাড়াতেও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দিল্লি থেকে একই ভাবে যুক্ত হন।
বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে ত্রিপুরার সাবরুমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হল বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড়। শুধু তাই নয়, চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গেও সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হলো ত্রিপুরার। মৈত্রী সেতুটি এই অঞ্চলের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা ভুলিনি, আপনারা কীভাবে ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছিলেন এবং আশ্রয় দিয়েছিলেন। আমরা ভারতকে সবসময়ই যথাসম্ভব সহায়তা করবো।
গত ১৩ জানুয়ারি এ সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়। এ সেতুর মোট পিলার ১২টি। এরমধ্যে, বাংলাদেশ অংশে নির্মাণ ৮ টি ও ভারতের অংশে ৪টি। সেতু থেকে ২৪০ মিটার এপ্রোচ রোড নির্মাণ করে রামগড়-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কে সঙ্গে এবং ওপারে সেতু থেকে প্রায় ১২০০ মিটার এপ্রোচ রাস্তা নবীনপাড়া-ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম-আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের দুই লেনের এ সেতুর দুপাশে রয়েছে ফুটওয়ে।
২০১০ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি সফরকালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সঙ্গে বৈঠকে রামগড়- সাব্রুম স্থলবন্দর চালুর যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফেনী নদীতে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১’ নামে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30