বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় সাইক্লিস্ট আবুল হোসেন আসাদ

বান্দরবান প্রতিনিধি ॥ বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এবং তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান,রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির  প্রাকৃতিক সৈৗন্দর্য্য – জীব বৈচিত্র্য ও  পরিবেশ রক্ষার  এবং  পর্যটন প্রসারের জন্য সাইকেল নিয়ে নেমেছেন দেশের অন্যতম সাইক্লিস্ট মুহাম্মদ আবুল হোসেন আসাদ। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে এই সাইকেল  ভ্রমন কর্মসুচী শুরু করেন তিনি। আগামী ৫ এপ্রিল বিকেলে খাগড়াছড়িতে গিয়ে শেষ হবে এই কর্মসুচী। তিনি চারজেলায় সাইকেল চালাবেন প্রায় ৩৯০ কিলোমিটার।বাংলাদেশ  টেকনাফ টুর খাগড়াছড়ি লেখা গেঞ্জি পরে শাহপরীর দ্বীপের জিরো পয়েন্ট থেকে সাইকেল ভ্রমন শুরু করেন আসাদ।
সাইক্লিস্ট মুহাম্মদ আবুল হোসেন আসাদ বলেন,বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখতে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ লাখ দেশি বিদেশি পর্যটক ছুটে আসেন। সৈকত দেখে তারা মুগ্ধ হলেও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস,পাহাড় নিধন ও সৈকত দখল দেখে অনেকে হতাশ হন।বান্দরবান,রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির পরিবেশও নানাভাবে নষ্ট হচ্ছে। পর্যটকের জন্য সম্ভাবনাময়ী এই চার জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য,জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে লোকজনকে আরো সচেতন করতে তিনি এই সাইকেল অভিযানের উদ্যেগ নিয়েছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরোও বলেন,গত ফেব্রুয়ারি মাসেও তারা তিন সাইক্লিস্ট ৮৩ কিলোমিটার টেকনাফ -কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার বিষয়ে পর্যটকদের সচেতন করতে সাইকেল শোভাযাত্রা করেন। এবার একাই তিনি চারজেলায় সাইকেল চালিয়ে পরিবেশ রক্ষার কর্মসুচি বাস্তবায়ন করছেন সেই সাথে পর্যটনের বিকাশে চিত্র গ্রহন করছেন।সাইকেল চালানোর সময় সমুদ্রসৈকত,নাফনদী, মাথিন কুপ, জালিয়ারদিয়া, মেরিনড্রাইভ সড়ক, পাহাড়ি ঝরনা, লেক, ঝুলন্ত সেতু সহ দর্শনীয় স্থান গুলোর ভিডিও  এবং স্থির চিত্র ধারন করবেন। পরে এসব নিয়ে রাজধানীতে চিত্র প্রর্দশনীর মাধ্যমে চারজেলার সৌন্দয্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
২০১৬ সালকে সরকার পর্যটন বর্ষ ঘোষনা করে এব কার্যক্রম ব্যাপীত করেছে ২০২১ সাল পর্যন্ত। দেশি বিদেশী  লাখো পর্যটক কক্সবাজার,বান্দরবান,রাঙামাটি,খাগড়াছড়ি ভ্রমনে আসছেন। এবং সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে সাইকেল অভিযাত্রা সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে। পর্যটন এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষা,পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা খুবই জরুরী । এবিষয়ে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে আন্তজার্তিক সাইকেল অভিযানের প্রস্তুতি চলছে পথিকের।
২০০৮ সালের ২৬ জুন আন্তজার্তিক মাদকবিরোধী দিবসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর থেকে শুরু হয়েছিল টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত মাদক বিরোধী বার্তা নিয়ে সাইকেল অভিযান শুরু করেন। এই সাইকেল অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুহাম্মদ আবুল হোসেন আসাদ। ম্াদকবিরোধী এই আন্দোলনের শ্লোগান ছিল মাদককে না বলো জীবনের পথে এগিয়ে চলো। ১৭ দিনে শেষ হয়েছিল টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত এই মাদকবিরোধী সাইকেল অভিযান।  সাইক্লিস্ট আবুল হোসেন বলেন শখের বশে দেশের মানুষের জন্য অন্যরকম এই সাইকেল ভ্রমন অভিযান। মানুষকে সচেতন করা গেলে দেশটাই সুন্দর ভাবে গড়ে উঠবে,এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এই প্রত্যাশা রাখি।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31