ফেইজবুকের মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া ছবি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে ষড়যন্ত্র !

॥ গিরিকন্ঠ ॥ লংগদু ঘটনা নিয়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালী উভয় পক্ষের প্রবাকান্ড দিন দিন জোরদার হচ্ছে। গুজব আর সামাজিক গণমাধ্যম ফেইজবুকের মিথ্যা তথ্য নিয়ে মানুষের মাঝে আবারো শুরু হচ্ছে বিশ্বাস অবিশ্বাসের টানা পোড়েন। এই ভাবে চলতে থাকলে সমস্যা নিরসনতো দুরে থাক এটা আরো বড় থেকে বড়ো আকার ধারণ করবে। এক সাংবাদিকের ফেইজ বুক আইডির ছবি সংগ্রহ করে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করে রাঙ্গামাটি কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অসন্তোষ হয়েছে সাধারণ মানুষ।
লংগদুর ঘটনা নিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা সহ দেশের সর্বস্ত্র এখন চলছে গুনজন ও গুজবের অবস্থা থেকে এটিকে একটি বড়ো ইস্যু করে নিয়েছে। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে কিছু মানুষ পাহাড়ীদের প্রতি সমবেদনা এবং কিছু মানুষ বাঙ্গালীদের প্রতি অবস্থান নিয়ে এই ইস্যুকে আরো ঘনিভ’ত করে তুলেছে। এর মাঝেও দেখা যায় কিছু কিছু টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা শুধুমাত্র একটি পক্ষের সমস্যা গুলো তুলে ধরায় অন্যপক্ষ সকল টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছে। হয়তো আগামী কিছু দিনের মধ্যে লংগদুর মানুষ সাংবাদিক দেখলেই তেড়ে আসার মতো অবস্থা তৈরী হবে। এই অবস্থা সাংবাদিকদের নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করার দায়িত্ব ছিলো বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
রাঙ্গামাটি জেলায় থেকে লংগদু উপজেলা দুর্গম হওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওযায় লংগদু ঘটনার শুরু দিনে রাঙ্গামাটি থেকে কোন পত্রিকা বা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা সেখানে যেতে পারেনি। তাই তারা আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ী ও বাঙ্গালীদের। এর মাঝে রাঙ্গামাটির এক সাংবাদিক ঢাকায় কর্মরত তার ফেইজবুকের একটি আইডিতে বেশ কিছু ছবি আপলোডের পর রাঙ্গামাটির কর্মরত সাংবাদিকরা ছবি গুলো সত্যি মনে করে। সেই আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করে সাংবাদিকরা লংগদুর ঘটনার সংবাদের সাথে ছবি জাতীয় পত্রিকায় পাঠায় রাঙ্গামাটির সাংবাদিকরা। সেই ছবি বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গত ৩ জুন নিউজ সহ প্রকাশ করে।
সেই ছবিটি গত ৩ জুন বেশ কিছু জাতীয় দৈনিক প্রকাশ হওয়ার পর পর শুরু হয় নতুন করে ষড়যন্ত্র। ঐ সাংবাদিক যে ছবি গুলো প্রকাশ করেছে সেই ছবি গুলো ছিলো গাইবান্ধা ও গাজীপুরের ছবি। সচেতন মানুষরা সেই ছবি গুলো পাওয়ার সাথে সাথে ফেইজবুকে কমেন্ট শুরু করে। এই পত্রিকার সাংবাদিকরাও পড়ে বেকায়দায়। তাই একজন সচেতন সাংবাদিক যদি এই রকম পেনিক সৃষ্টিকারী ছবি আপলোড করে তাহলে সাধারণ মানুষরা কি কি করবে তা ধারনার বইরে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
একদিন পর ঐ সাংবাদিক যখন বুঝতে পেরেছে সচেতন মানুষ তার ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যে ধরে ফেলেছে ঠিক তখনই কথিত ঐ সাংবাদিক ফেইজ বুকে আরেকটি স্টেটাস দিয়ে বলে কেউ যাতে এই ছবি গুলো শেয়ার না করে। এর এক দিন পর ঐ সাংবাদিক তার পেইজ থেকে ছবি গুলো সরিয়ে ফেলে। তাহলে এতেই বোঝা যায় পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্রের মাঝে রয়েছে কয়েকজন সাংবাদিক। যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ী বাঙ্গালীদের মাঝে দ্বন্ধ সংঘাত বৃদ্ধির মুল কারণ বলে মনে করেছেন অভিজ্ঞ মহল।
সচেতন মহল বলেন, যে সকল আইডির মাধ্যমে পাহাড়ী বাঙ্গালী ও সাম্প্রদায়িক উস্কানী মুলক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে সেই সকল আইডির বিরুদ্ধে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাতে এই দুস্কৃতিকারীরা সমাজের কাছে চিহ্নিত হয়ে থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অন্যরাও এই সকল প্রবাকান্ডা ছড়াতে সাহস পাবে না।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031