রাঙ্গামাটি : আমরা আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে যাবো না

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আমরা আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে যাবো না। আমাদের বাড়ীঘর সব পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে আছে, যা আছে পাহাড়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, সেখানেও যাওয়ার কোন উপায় নেই। পুনর্বাসন করবে বলে আমাদেরকে তিন মাস ধরে আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে দিয়েছে, আজ ৩০ কেজি চাল আর ১ হাজার টাকা দিয়ে বলে নিজ নিজ বাড়ী ঘরে ফিরে যাওয় এমন দুঃসহ জীবনের কথা তুলে ধরলেন রাঙ্গামাটির জিমনেসিয়াম ও হাসপাতাল এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোকজন।
তারা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, জেলা প্রশাসক আমাদেরকে নিয়ে খেলেছে। আমাদেরকে যদি বের করে দেয়ার আশা ছিলো তাহলে আরো আগে বের করে দিতো। আমরা যে নিজ নিজ ধ্বংসস্তুপে নিজেদের ভাগ্য তৈরী করার চেষ্টা করতাম। তাও করলো না হঠাৎ করে কাল এসে বলে আমাদেরকে চলে যেতে হবে। আজকের পর থেকে নাকি খাবারও দেবে না।
তারা বলেন, আমরা যাবো না আমরা এখানেই থাকবো না খেয়ে মড়বো। এখান থেকে গেলে আমাদেরকে রাস্তায় থাকতে হবে। গাছ তলায় ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকতে হবে। হঠাৎ করে বাড়ীঘর কোথায় পাবো। জেলা প্রশাসক যে ত্রাণ দিয়েছে তা আমাদের কোন কাজেই আসবে না। এমন কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষ গুলো।
সরকার আশ্রয় কেন্দ্র বন্ধ করলেও এখনো পর্যন্ত প্রায় শতাধিকেরও বেশী পরিবার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান করছে। তারা কখন যাবে তাও কেউ বলতে পারছে না।
এদিকে রাঙ্গামাটি জেলা ত্রাণ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা আশ্রয় কেন্দ্র গুলো বন্ধ করে দিয়েছি। আজ রাতের খাবার তাদেরকে দেয়া হবে। কাল থেকে আমরা আর আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য কোন বরাদ্দ দেবো না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনরাও যেমন শুনেছেন আমরাও তেমন শুনেছি। তারা থাকলে সেটা তাদের ব্যাপার। তারা থাকলে তারা রান্না করে খাবে এখানে আমাদের কারার আর কিছ্ ুথাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা আবারো বসেছি কাউন্সিলারদের নিয়ে। যারা বাদ পড়েছে তাদের পুর্ণ বিবেচনার জন্য। তাদের বিষয়ে আমরা যদি সিদ্ধান্ত নিতে পারি তাহলে সরকারকে এই বিষয়ে লেখা হবে বরাদ্দের জন্য। তিনি বলেন, সরকার খুবই আন্তরিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ব্যাপারে।

থানচি সীমান্ত সড়কের ব্রীজ উদ্বোধন ও ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন পাহাড়ে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ শান্তির পরিবেশ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে যাচ্ছে —–ব্রিঃ জেঃ মোঃ শামসুল আলম

চবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা রাঙ্গামাটির দৈনিক গিরিদর্পণ কার্যালয় পরিদর্শন দৈনিক গিরিদর্পণ পার্বত্য অঞ্চলের গণমাধ্যম ইতিহাসের অমূল্য দলিল —–অধ্যাপক শাহাব উদ্দীন নীপু ৪৩ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দৈনিক গিরিদর্পণ আজো নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে —–সম্পাদক মঞ্জুরাণী গুর্খা

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930