আমি কখনোই স্বৈরাচার ছিলাম না : এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, “অনেকে আমাকে স্বৈরাচার বলেন, কিন্তু কি স্বৈরাচারী করেছি আমি খুঁজে পাই না। এমন কী করেছি যে আমাকে স্বৈরাচার বলা হয়? আমি কখনোই স্বৈরাচার ছিলাম না।”

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর ১৯৮২ সালে আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা নিয়েছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ, যা অবৈধ ছিল বলে পরে আদালতের রায় এসেছে।

ক্ষমতা নেওয়ার পর সংবিধান নিয়ে যথেচ্ছছার করেন এরশাদ, দেশ পরিচালনাও করেন তার ইচ্ছা অনুযায়ী; বিক্ষোভ দমন করেন গুলি দিয়ে। ছাত্র-জনতার দাবি উপেক্ষা করে ক্ষমতায় বসে থাকার জন্য ‘বিশ্ববেহায়া’ কথাটিও শুনতে হয়েছিল তাকে।

এরশাদ বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়ার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না।

“জাস্টিস সাত্তারের অনুরোধে দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তিনি তখন দেশ চালাতে অপারগ ছিলেন। আমি নির্বাচন দিয়ে ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। কেউ নির্বাচনে আসেনি, আমাকে বাধ্য হয়ে দল গঠন করতে হয়েছে।”

বিভিন্ন দলের নেতাদের ভাগিয়ে জাতীয় পার্টি গড়েন এরশাদ; এই দলটি ছেড়ে যাওয়া অনেকে পরে দল পরিচালনায় এরশাদের স্বেচ্ছাচারী আচরণের কথাও বলেছিলেন।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বদাতা দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের রেষারেষিতে এখনও দেশের রাজনীতিতে গুরুত্ব নিয়ে থাকা পতিত সামরিক শাসক এরশাদ দাবি করেন, দেশের মানুষ এখন তাকেই ক্ষমতায় চায়।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপি নিরাপদ নয়, বিএনপির কাছে আওয়ামী লীগ নিরাপদ নয়। মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়, নিরাপদে থাকতে চায়। আমি বলতে চাই, আমার কাছে সবাই নিরাপদ।”

আগামী নির্বাচনের জন্য জাতীয় পার্টির ৩০০ প্রার্থী চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত এরশাদ।

একুশের মাসে এই আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ইংরেজি সাইনবোর্ডের নিচে বাংলা চালু করা আমিই প্রথম শুরু করি। আমিই অগ্রদূত। আমি ক্যালেন্ডারে ইংরেজির নিচে বাংলা চালু করাও বাধ্যতামূলক করেছিলাম।”

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031