রাঙ্গামাটিতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপিত

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সারা বিশ্বের ন্যায় রাঙ্গামাটিতেও খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষেরা ধর্মীয় প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে বড় দিন উদযাপন করছেন। শহরের প্রতিটি গির্জার বাইরে ও ভেতর বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জায় দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের সে গোশালাও তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চলেছে বড়দিনের গান বাজনা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন হলেও রাঙ্গামাটির বিভিন্ন গির্জায় উৎসব উদযাপন শুরু হয়েছে রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রভু যীশুর কাছে প্রার্থনার মধ্যদিয়ে। রাতে শহরের তবলছড়ি বন্ধু যিশু টিলা সাধু যোসেফ গীর্জায় সমবেত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে খ্রীষ্ট জন্মোৎসবের সুচনা করেন রাঙ্গামাটি ক্যাথলিক চার্চপাল পুরোহিত ফাদার মাইকেল রায়। এছাড়া সকালে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি নির্মলা গির্জা, রাঙ্গমাটি ডিসি বাংলো গির্জাসহ বিভিন্ন গির্জায় গির্জায় চলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান আর প্রার্থনার মধ্যদিয়ে যিশু খ্রিস্টকে স্মরণ করেন পূণ্যার্থীরা। আর বড়দিনে সমবেত বিশেষ প্রার্থনায় পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে প্রভু যীশুর জন্মদিন। এ উৎসবের মধ্যে মিশে যাবে সকল হিংসা, সংঘাত। দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতিসহ সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করেন সকলে।
রাঙ্গামাটি ছাড়াও কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা, বাঘাইছড়ির সাজক ইউনিয়ন ও বিলাইছড়ির পাংখো পাড়ায় খৃস্টান ধর্মাবলম্বী পাংখো ও খিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ বড়দিন উৎযাপন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করেছে। আবার কেউ কেউ এলাকায় আয়োজন করেছে প্রীতিভোজের। অন্যদিকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভ বড়দিন উপলক্ষে রাঙ্গামাটি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন। খ্রিস্টান পল্লীগুলোর আশে-পাশে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সাথে মতবিনিময় সভা পার্বত্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে দৃষ্টি দিতে হবে ——ইউজিসি চেয়ারম্যান

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728