॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে ব্যাপক ভাংচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। গত শনিবার রাতে ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের দরজা ভেঙ্গে দুর্বৃত্তরা ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ হামলায় জাতির জনকের ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে এবং চেয়ার টেবিল সহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের তিন নেতা আহত হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এ হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এ হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগ স্থানীয় রাজনৈতিক দল জেএসএসকে দায়ী করে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করেছে।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ জানান, গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগের ছেলেরা পার্টি অফিসে বসে কাজ করছিলো। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দরা পার্টি অফিসের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে ছাত্রলীগের নেতাদের উপর হামলা চালায়। আহতরা হলেন, কাউখালী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব সেন, সহ-সভাপতি সেন্টু তালুকদার ও অর্থ সম্পাদক কমল দে। এক পর্যায়ে তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর চালিয়ে পদলিত করে। এছাড়া হামলাকারীরা জাতির পিতাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে।
আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে কাউখালী উপজেলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের করায় জেএসএস নেতৃবৃন্দরা ক্ষুব্ধ হয়ে ঘাগড়া বাজারে আওয়ামীলীগ নেতাদের তিনটি দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। তারা জোর পূর্বক ভাবে গতকাল সকালে বাজারে এসে আওয়ামীলীগ নেতাদের দোকান বন্ধ করে দেয়। এবং হুমকী প্রদান করে দোকান খুললে প্রাণে মেরে ফেলবে। দোকান বন্ধ আওয়ামীলীগ নেতা ও ব্যবসায়ীরা হলেন, আমীর হোসেন, সজীব দত্ত, ও বিমল বড়–য়া।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর উপর্যপরী হুমকী আসছে। তারা বরেন, মামলা তুলে নাও না হলে অপহরণ করে লাশ গুম করে ফেলা হবে বলে এমন অভিযোগ করেন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
ঘাগড়া ইউনিয়ন জেএসএস সভাপতি সুভাষ চাকমা গতকাল বিকালে টেলিফোনে জানান, একটি একটি পারিবারিক ঘটনা। এটিকে রাজনৈতিক ভাবে রুপ দেওয়া জন্য আওয়ামীলীগ নেতাবৃন্দ উঠে পড়ে লেগেছে এবং জনসংহতি সমিতিকে শুধুশুধু দোষারোপ করছে। সুভাষ চাকমা জানান, ঘাগড়া বাজার এলাকায় জনৈক ছাত্রলীগ নেতা নাসির রতন শীলের জায়গা জোর করে জবর দখল করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা শুরু করেছে। এক পর্যায়ে গত শনিবার রতনশীল ও তার মায়ের মধ্যে কথাটাকাটি শরু হলে আওয়ামীলীগ নেতা নাসির তাদের মাঝে গিয়ে ঝগড়া শুরু করে। এর পর তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে জনসংহতি সমিতির কয়েকজন এসে তাদের ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে নাসির দৌড়ে দিলে তার পিছন পিছন আমাদের কর্মীরা ও দৌড় দেয়। নাসির আওয়ামীলীগ অফিসে প্রবেশ করলে আমাদের নেতারাও তার পিছু নেয়। আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে প্রবেশের সেষ্টা করে। এসময় আওয়ামীলীগ অফিসের দরজা ভেঙ্গে যায়। তাছাড়া আর কিছুই ক্ষতি সাধিত হয়নি।
তিনি বাজারের দোকান বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কারো দোকান বন্ধ করিনি। দোকানদার নিজে দোকান বন্ধ করে যদি অনত্র্য চলে গিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি বলে এতে আমাদের করার কিছুই থাকে না। আপনারা এসে সরজমিনে দেখে যান আমরা দোকান বন্ধ করেছি কিনা।